মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে গত ০১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরোধানের সমলয়ে চাষাবাদের লক্ষ্যে লেবুডাঙ্গায় ট্রেতে উৎপাদিত ধানের চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে রোপণের শুভ উদ্বোধন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন রেজা । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার জনাব শাহ সাইদুর রহমান এবং রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মো: মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার। অনুষ্ঠানে সমকালীন চাষাবাদ প্রযুক্তির আওতায় রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন সম্পর্কে ধারনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, এই প্রযুক্তি কৃষি সম্প্রসারণে কাজে সহায়ক হবে এবং গতি আসবে, কৃষক প্রশিক্ষণ দিতে সুবিধা হবে ফলে কৃষক নতুন প্রযুক্তি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া কৃষি উপকরণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সার, বীজ, কিটনাশক ডিলারদের দৌরাত্ব কমে যাবে, সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফসলে রোগ পোকা মাকড় কম হবে। এই পদ্ধতিতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং শ্রমিক খরচ কমে যাবে। এই প্রযুক্তির আরো সম্ভাবনার দিক হচ্ছে সেচ ও নিকাশ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন হবে, পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে এবং বেকার সমস্যায় ভূমিকা রাখতে পারবে। গ্রামীন অর্থনীতির আর একটি নেতিবাচক দিক, শিক্ষিত মানুষের শহর মূখীতা, যা রোধ হবে । এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করা সহজ হবে এবং পরিশেষে, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ কৃষকের নিকট ভর্তূকীমূল্যে ০১টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ,০১টি পাওয়ার রাইস উইডার ও ০১টি গার্ডেন টিলার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এবং সাংবাদিক,গন্যমান্য ব্যক্তি-বর্গ, এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন।