বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ‘সমলয়‘ পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদের উদ্বোধন হয়েছে।
বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে,খুটামারা ইউনিয়নের খালিশা খুটামারা এলাকায় ২০২৩–২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমলয় চাষাবাদ প্রদর্শনীতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যেমে বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলা কৃষি অফিস প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এস.এম. আবু বক্করের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর,উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি,আর, সারোয়ার,উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন আহমেদ,মহিলা ভাইস–চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম,খুটামারা ইউপি চেয়ারম্যান রকিবুল ইসলাম,কৃষিবিদ উজ্জল কুমার কর প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আহসান হাবীব।এছাড়াও বিভিন্ন সূধিজনসহ উপকারভোগী কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬২ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে একই জাতের বোরো ধান একই সময়ে আবাদ করা হবে। বীজ রোপণ থেকে শুরু করে নিড়ানি, ফসল কাটা ও মাড়াই পুরো প্রক্রিয়া করা হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। জমি মালিকরা এ চাষাবাদের সুফল বুঝতে পারলে পরে তাঁরাও সমলয় পদ্ধতিতেই আবাদে আগ্রহী হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুমন আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব। কৃষক পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টারের মাধ্যমে এসব চারা রোপন করা হবে। সমলয় পদ্ধতিতে কাটা–মাড়াই হবে কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের মাধ্যমে। এতে করে শ্রমিক সংকটও নিরসন হবে।