স্বাধীনতার পর খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অতি তাপমাত্রা,খরা, অকাল বন্যাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ। কৃষিক্ষেত্রে সেই চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষি উন্নয়নে পানি, বিদ্যুৎ এবং বায়ু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান। জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যেমন পানি, বায়ু এবং কৃষি এবং পয়নি:ষ্কাশন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় জরুরি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় জরুরি।’
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষিতে প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এইসব কথা বলেন।
স্বাগত বক্তব্যে আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বাংলাদেশের কৃষিতে সেরা অর্জন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সময়ে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষ ও স্মার্ট কৃষক তৈরি করতে পাতলে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজে করা যাবে ।
তিনি বলেন, অস্বাভাবিক হারে কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে৷ প্রাকৃতিক এবং জৈবসারের ব্যবহার বাড়াতে হবে৷ বৃষ্টি কমে যাচ্ছে বলে ফলন কিন্ত কমছে না বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ দেশের প্রকৌশলীরা নানাভাবে উদ্ভাবন কাজে লাগাচ্ছে।
আইইবির কৃষিকৌশল বিভাগের চেয়্যারমান প্রকৌশলী মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল বাশার, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, কৃষি কৌশল বিভাগের সাবেক চেয়্যারমান প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, জিয়াউল হক প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মিলন। মুখ্য আলোচক ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. নেপাল চন্দ্র দে।