ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): সম্প্রতি খুলনা জেলার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় বেড়িবাঁধ কেটে আবাদি জমি নষ্ট করা হচ্ছে এই মর্মে সংবাদপত্র ও মহান জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হয়েছে যার পেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ, (ফোয়াব)। এক বিবৃতিতে ফোয়াব নেতৃবৃন্দ উপকূলীয় এলাকায় লবণ পানি নিয়ে একটি পক্ষ আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট ও সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের নিমিত্তে লবণ পানি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা তথা উপকূলীয় জেলাগুলোর আর্থসামাজিক অবস্থার যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা বিশ্বখ্যাত ব্লাক টাইগার বাগদা, কাঁকড়াসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্য উৎপাদন করে টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রপ্তানি বাণিজ্যে যার ব্যাপক অবদান রয়েছে।
ফোয়াব নেতৃবৃন্দ মনে করেন, দেশে বর্তমানে ডলার সংকট চলছে। এ সময় শতভাগ রপ্তানিমুখী লবণাক্ত পানির মৌসুমি ফসল উৎপাদনের মুহূর্তে একটি অশুভগোষ্ঠী লবণ পানি নিয়ে কাল্পনিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। যা লবণ পানির বাগদা-কাঁকড়া ও বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য উৎপাদনে বাধাদানের সামিল। এমনকি বর্তমান সরকারের ভিষণ-২০৪১ বাস্তবায়নের বিপরীতমুখী অবস্থান। জোয়ার-ভাটায় ভাসে যার দু’কূল তাকেই বলে উপকূল, সুতরাং যে এলাকায় যে ফসল ভালো হয় সে এলাকায় সেটাই চাষাবাদ হবে সেটাই স্বাভাবিক। এছাড়া সবজি চাষাবাদের জন্য অনেক জায়গা পরিত্যক্ত পড়ে আছে। উপকূলীয় এলাকায় ভেড়িবাঁধের কারণে নদ-নদী ভরাট হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়, উপকূলীয় এলাকায় লবণ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি পাবলিক প্রাইভেট উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। লবণাক্ত পানিতে চিংড়ি আহরণ ও চাষাবাদকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্প ইন্ডাস্ট্রিজ গড়ে উঠেছে। সব মিলে সরকারের উন্নয়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য পরিকল্পনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সৃষ্টি হচ্ছে রপ্তানিমুখী কর্মকান্ড। এতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে একটি কুচক্রীমহল। উপকূল বন্ধু পরিচয় কিছু অসৎ লোক, লবণ পানি নিয়ে অপপ্রচার করছে ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। নেতৃবৃন্দ তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন, ফোয়াবের সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওঃ শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রুবেল, টেকনিক্যাল এ্যাডভাইজর, মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাবিবুর রহমান খন্দকার, স্মার্ট ফিশারিজ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মৎস্যবিদ মো. মনিরুজ্জামান, ফোয়াব কক্সবাজার জেলার সভাপতি খলিলুল্লাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনুল করিম মামুন, মো. ওয়াজেদ আলম, ফোয়াব আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মান্নান বাবলু, সদস্য সচিব শেখ শাকিল হোসেন, বাহাদুর শেখ প্রমুখ।
অপরদিকে সহমত প্রকাশ করেছেন এফবিসিসিআই-এর স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফিশারিজ-এর চেয়ারম্যান মো. বাবুল আখতার, সদস্য মো. মনজির হোসেন, গোলাম কিবরিয়া রিপন, রবীন্দ্রনাথ বর্মণ, আবুল হোসেন তালুকদার, মো. মহিদুল ইসলাম প্রমুখ।