এগ্রিনিউজ২৪.কম: ব্রয়লার ও লেয়ার বাচ্চার সংকটে প্রান্তিক পোল্ট্রি উৎপাদন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে, জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (বিপিআইএ)। সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রান্তিক খামারীরা ব্রয়লার ও লেয়ার বাচ্চার সংকটে সারাদেশে একের পর এক খামার পরিচালনা বন্ধ করে দিচ্ছেন,ফলশ্রুতিতে খুব নিকট ভবিষ্যতে দেশে ডিম এবং মুরগির মাংসের সংকট আসন্ন।
গত ৫ মার্চ বিপিআইএ সভাপতি শাহ হাবিবুল হক -এর সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব খন্দকার মো. এর পরিচালনায় কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠকে মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ানোর অপকৌশল প্রতিরোধে ফলপ্রসু উদ্যোগ গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বাংলাদেশ সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক একদিন বয়সী লেয়ার ও ব্রয়লার বাচ্চার বিক্রয়মূল্য হ্যাচারি পর্যায়ে যথাক্রমে ৫৭ টাকা ও ৫২ টাকা নির্ধারন করে দেওয়া হয়। ডিএলএস -এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুচরা দামের সর্বোচ্চ লাভের পরিমানও বেঁধে দেওয়া হয়। হ্যাচারী মালিকগণ সরকারের দেওয়া নির্ধারিত মুল্যেই বাচ্চা বিক্রি করে আসছেন।
কিন্ত বিগত তিন মাস থেকে খুচরা পর্যায়ে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী (মধ্যসত্বভোগী) সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের তোয়াক্কা না করে, বাচ্চার সংকটে ইচ্ছেমতো লাভ ধরে প্রান্তিক খামারিদের নিকট বাচ্চা বিক্রি করছে।এক্ষেত্রে হ্যাচারী মালিক ও খামারী কেউই লাভবান হচ্ছেন না। এই সকল অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে প্রান্তিক ডিম ও মাংস উৎপাদনকারীদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব খুব অল্প সময়ে ভোক্তা পর্যায়ে দৃশ্যমান হবে।
এমতাবস্থায় বাচ্চার উৎপাদন স্বল্পতায় সুযোগ সন্ধানী মহলের অপতৎপরতা বন্ধ করতে, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে অনতিবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল মহলকে দ্রুত কার্য্করী উদ্যোগ নিয়ে বাচ্চা, ডিম, মুরগী ও পোল্ট্রি খাদ্যের কাঁচামাল সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনা ও মধ্যসত্বভোগীদের অনাহুত বাচ্চার দাম বাড়ানোর অপকৌশল প্রতিরোধে ফলপ্রসু উদ্যোগ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।