বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী): নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় চলতি বছরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি গম চাষাবাদ হওয়ায় ছাড়িয়ে গেছে গম চাষের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা।ফসলের মাঠে টেউ তুলছে গমের সবুজ শীষ। ইতিমধ্যে গমের দানা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে কোথাও কোথাও আবার গম পেকে মাঠে সোনালি কালার ধারণ করছে। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন এ উপজেলার কৃষকেরা। আর কিছু দিনের মধ্যে ফসলের মাঠ থেকে গম কেটে নিয়ে পাট চাষের সুযোগ থাকায় এবং বর্তমানে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকেরা দিন দিন গম চাষের দিকে ঝুঁকছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জলঢাকার কিছু জমিতে কৃষক উচ্চ ফলনশীল জাত হিসেবে পরিচিত বারি-৩০, ৩২ ও ৩৩ রোপণ করেছেন। এছাড়া বারি-২৫, ২৭ ও ২৮ জাতের গমও চাষ করা হয়েছে। আগামী ১৫-২৫ দিন পর জমি থেকে চাষিরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন।
উপজেলার গোলমুন্ডা ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ অন্যান্য ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও জলঢাকা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায় তামাক চাষ হতো। সরকারি-বেসরকারি প্রচারণার কারণে কৃষক তামাক চাষে নিরুৎসাহিত হয়। তারা তামাকের বদলে এখন গম চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ভাবনচুর চর এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, আগে আমরা চরে তামাক চাষ করতাম কিন্তু তামাকে ক্ষতির কথা জানার পর গম চাষ শুরু করি। আশা করি এবারে ফলন ভালো হবে।
উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের কৃষক বিলাশ চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।গম চাষে খরচ বেশি হয় না।
জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুমন আহম্মেদ বলেন, গম চাষ বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এবারে উপজেলার ৪৪৮ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে।গত বছরের চেয়ে এ বছর হেক্টর প্রতি ফলন বেশি হবার সম্ভবনা রয়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করি ফলন ভালো হবে।