বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

বগুড়া পর্যটন মোটেলে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মশালা

মো. এমদাদুল হক (পাবনা): (০৯ র্মাচ) শনিবার বগুড়া পর্যটন মোটেলে, মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যেমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পভুক্ত জেলা ও উপজেলা অফিস সমূহের, হর্টিকালচার সেন্টার, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর, প্রশাসন ও পুলিশ সার্ভিস, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিএডিসি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, বাংলাদেশ বেতার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মাশরুম উদ্যোক্তা, উদ্যোক্তা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ভ্রাম্যমাণ দোকানদার, প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উক্ত আঞ্চলিক কর্মশালা সভাপতিত্বে করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ । কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি ঢাকার পরিচালক (প্রশিক্ষণ উইং) কৃষিবিদ মো. খায়রুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিরাজগেঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক কৃষিবিদ বাবলু কুমার সূত্রধর, জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন, বগুড়ার বনানী হার্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ ছাহেরা বানু, পাবনা টেবুনিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক কৃষিবিদ এএফএম গোলাম ফারুক হোসেন।

প্রকল্প পরিচালক ড. মোছা. আখতার জাহান কাঁকন প্রকল্পের কার্য়ক্রম কর্মপরিক্লপনা তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্য়ালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দীন ফিরোজ।

বক্তারা জানান, মানব স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ, অত্যন্ত পুষ্টিকর, ঔষুধিগুণ সম্পন্ন, সুস্বাদু, সম্পূর্ণ নিরাপদ একটি সবজি হলো মাশরুম। মাশরুম চাষে তেমন কোন রোগ বালাই হয়না এজন্য মাশরুম জৈবিক উপায়ে উৎপাদন করা যায়। কিন্তু এর পরিচিতি, উৎপাদন, বিপণন ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে এজন্য মাশরুম চাষ সম্প্রসারণে সকলকে কাজ করতে হবে বলে জানান। আর এর ধারাবাহিকতায় মাশরুম চাষ ও এর ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ। এছাড়া জানান মাশরুম চাষে স্বল্প জায়গায় স্বল্প মূলধনে মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ নিয়ে বেকার নারী পুরুষ বাক প্রতিবন্ধি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধিরা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।

This post has already been read 1334 times!

Check Also

খুলনা উপকূলের পতিত জমিতে লবন সহিষ্ণু ডিবলিং পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ

ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত । এই …