বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

চসিকে গবেষণার পরিবর্তে মশক নিধন কার্যক্রমের যথাযথ তদারকি নিশ্চিতের আহ্বান

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) এলাকায় মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। শনিবার নগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে এর উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। আর এ সময় আগামি এপ্রিল মাসের মধ্যে মশা নিয়ে গবেষণার জন্য চসিকের উদ্যোগে একটি গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দেন। মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম বা গবেষণা পরিবর্তে চলমান পরিস্কার পরিছন্নতা ও মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম যথাযথ মনিটিরিং এর আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষনকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।

রবিবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মশক নিয়ন্ত্রণে ক্রাস প্রোগ্রাম শুরু করার সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিস্কার পরিচন্নতা ও মশক নিধক সিটি করপোরেশনের অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হলেও সিটি করপোরেশনের চলমান কাজের অগ্রগতিতে তা মনে হয় না। আবার চলমান কাজের মান তদারকির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ও দুর্বলতার কারনে সিটি করপোরেশনের অধিবাসীরা সেখান থেকে কাংখিত সেবা পাচ্ছে না। সিটিকরপোরেশন পরিচালিত পরিস্কার পরিছন্নতা কাজে বিপুল পরিমান পরিছন্ন কর্মী, সুপারভাইজারসহ নানা লোকবল নিয়োগ করা হলেও মাঠে তাদের দেখা মেলা ভার। যার কারণে সিটি করপোশেনের বিপুল অর্থ ব্যয় হলেও সেবার মানের কোন পরিবর্তন হয়নি।

বিবৃতিতে নেতৃবন্দ আরও বলেন সিটি করপোরেশনের দাবি অনুযায়ী ৪১টি ওয়ার্ডে নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলা হলেও দৃশ্যত নগরীর অধিকাংশ এলাকায় এধরনের কার্যক্রম দৃশ্যমান হবার দৃষ্ঠান্ত নাই। বিষয়টি অনেকটাই “কাজীর গরু খাতায় আছে, গোয়ালে নাই” সেরকমই। মশক নিধন কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীদের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কাগজে কলমে হিসাব প্রদানের পরিবর্তে সত্যিকার অর্থে তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা দরকার।

নেতৃবন্দ আরও বলেন, মশক নিধনে গবেষণাগার স্থাপন বা ল্যাব স্থাপনের পরিবর্তে কীটতত্ত¡বিদদের সার্বিক পরামর্শে সত্যিকারের মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হলে অবশ্যই নগরবাসী উপকৃত হবেন। আর নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর কথা বলে কোথাও ফগার মেশিন বা মশক নিধন কর্মীর দেখা মিলছে না? তাহলে গবেষণা করেও কোন কাংখিত ফলাফল আশা করা যাবে না।

মশা নিয়ন্ত্রণে চাই জনসচেতনতা সৃষ্ঠি বিষয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, নালায় ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের পরিছন্ন কর্মীরা নালা নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা তুলে আবার সেখানেই নিক্ষেপন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না হবার কারনে ময়লা ও বাসায় জমে থাকা পানি থেকে মশার প্রজনন বাড়ছে। একই সাথে স্থানীয় মশক নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমে কাউন্সিলরদের তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।

This post has already been read 1432 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …