রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪

আম নিয়ে সিন্ডিকেটের আশংকা কৃষিমন্ত্রীর

রাজশাহী সংবাদদাতা: এবার আম নিয়ে সিন্ডিকেটের আশংকা প্রকাশ করলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ। কৃষিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে চলতি মৌসুমে আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা আছে। ফলন কম হতে পারে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আম নিয়ে সিন্ডিকেট হতে পারে। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কৃষক যেন সঠিক মূল্য পান ও ভোক্তাও যাতে সঠিক দামে কিনতে পারেন, সেজন্য আম নিয়ে সিন্ডিকেট আমরা হতে দেব না।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কুমরপুর গ্রামে আমবাগান পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বেশি পরিমাণ আম রপ্তানির চেষ্টা করছি। রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের অধীনে চলতি বছর রাজশাহী জেলায় আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ কৃষককে সহায়তা প্রদান করা করা হয়েছে। রপ্তানির জন্য রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাপানে আম রপ্তানির জন্য ঢাকায় ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হচ্ছে এবং  রাজশাহী ও চাপাঁই নবাবগঞ্জে দুটি প্ল্যান্ট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে।

মন্ত্রী বলেন, চীন, রাশিয়া ও বেলারুশ রাজশাহীর আম নিতে আগ্রহী। দ্রুতই চীনের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহীর আম দেখতে আসবে। তাই এ দলটির সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলে আমের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এক্ষেত্রে কিছু কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আম, সবজি প্রভৃতি সংরক্ষণের জন্য দেশের ৮ টি বিভাগে ০৮টি বহুমুখী হিমাগার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এ সময় বিশ্বব্যাংকের প্রগ্রাম ম্যানেজার মাইকেল জে. ওয়েবস্টার, কোকা-কোলা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুউন নাহার চৌধুরী, বাংলাদেশ এগ্রো ফার্মার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট একেএম নাজিব উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামে মাটিবিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং এবং চৈতন্যপুর গ্রামে পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে চাষ করা ধানের খেত পরিদর্শন করেন।

বিকালে মন্ত্রী রাজশাহী সার্কিট হাউজের কনফারেন্স রুমে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত জলবায়ু স্মার্ট কৃষি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়। উপস্থাপনায় জানান হয়, ধান চাষে পর্যায়ক্রমে ভেজানো ও শুকানো (AWD) পদ্ধতিতে সেচ দিলে ২৫% পানির সাশ্রয় হয়। উৎপাদন বাড়ে ৭% এবং এর ফলে হেক্টর প্রতি ২২০০ টাকা সেচ খরচ কমে। একইসঙ্গে, এ পদ্ধতিতে ধান চাষে মিথেন গ্যাস নির্গমন ৩৬-৪৬% হ্রাস পায়।

This post has already been read 1599 times!

Check Also

জলঢাকায় সোনালী ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন

বিধান চন্দ্র রায় (নীলফামারী) : নীলফামারীর জলঢাকায় মাঠের যে দিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের সমারোহ। …