মো. গোলাম আরিফ (পাবনা) : পাবনায় ০২ দিনব্যাপী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা এবং কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র্র ঈশ্বরদী পাবনা’র আয়োজনে ডাল গবেষণা’র সেমিনার কক্ষে গত ২৬ ও ২৭ মে উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
প্রধান অতিথি বক্তব্যকালে মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২১৬ টি ফসলের ওপর গবেষণা করে থাকে। বারির উদ্ভাবিত জাত এবং প্রযুক্তিগুলো দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় এ অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের কৃষি অনেক এগিয়ে গেছে। তরুণ ও উচ্চশিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তারা এ জাত এবং প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে কৃষিকে ব্যাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তরিত করেছে। এতে বেকারত্ব কমছে এবং উচ্চমূল্যের ফসল চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রধান অতিথি আরো বলেন,সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যম ও বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করে এ অঞ্চলের সমস্যাগলো চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত সমস্যার আলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজগুলো করে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্মশালায় অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্যে বারির উদ্ভাবিত জাত এবং প্রযুক্তি বিস্তারের মাধ্যমে অব্যবহৃত কৃষি জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কৃষকের জ্ঞান দক্ষতা বৃদ্ধি করে ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে লোকসান কমানো, খাবার রান্না ও পরিবেশন এর সময় পুষ্টিগুণ রক্ষা, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ প্রণয়ন, ভূ-গর্ভস্থ ও ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে সঠিক শস্যবিন্যাস নির্বাচন ও পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ডাল গবেষণা কেন্দ্র্র ও আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদী পাবনা’র পরিচালক ড. মো: ছালেহ উদ্দিন। উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া’র অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী’র অতিরিক্ত পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত), কৃষিবিদ ড. মোঃ মোতালেব হোসেন। ২ দিনব্যাপী কর্মশালায় রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের কৃষি বিজ্ঞানী এবং কৃষি কর্মকর্তারা বিগত বছরে তাদের অত্র এলাকার বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন, মাঠ কার্যক্রম এবং কৃষি ও কৃষকদের সমস্যাসমূহ নিয়ে আলোচনা এবং তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনা ও পর্যালোচনা করেন এবং আগামী বছরে মাঠে বাস্তবায়নের কর্মসূচি প্রণয়ন করেন।
কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন রাজশাহী ও বগুড়া অঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক/কৃষাণী, এনজিও প্রতিনিধি সহ ৯০ জন উপস্থিত ছিলেন।