সিকৃবি সংবাদদাতা : শান্তিতে নোবেল জয়ী প্রফেসর ড.মুহাম্মদ ইউনুসের বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দানকারী বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবীর মুখে পদত্যাগ করলেও বেশ কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগ না করে অজ্ঞাত স্থান থেকে ক্যাম্পাস পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছেন। প্রতিটি ক্যাম্পাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্ররা তাদের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম প্রদান, কুশপুত্তলিকা দাহ সহ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলেও তারা পদত্যাগ না করায় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে পাঠানো সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর কারী দুর্নীতিবাজ উপাচার্যরা হলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বাসেত , কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে এম জাকির হোসেন ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম চৌধুরী ।
গণমাধ্যমে পাঠানো সেই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৮ আগস্ট কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রদত্ত এক খোলা চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এটি সার্বভৌম একটি দেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। অতএব আমরা মনে করি, এ ধরনের চিঠি প্রদানের মাধ্যমে বিবৃতিদাতাগণ অনৈতিক, বেআইনি ও অসাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ করেছেন।
এ ধরনের বিবৃতি বা খোলা চিঠি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানাবলির সম্পূর্ণ পরিপন্থি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, এ ধরনের বিবৃতি ও চিঠি প্রদান করে বিবৃতিদাতা সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ও নোবেল বিজয়ীগণ প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থি কাজকেই উৎসাহিত করতে চেয়েছেন।