নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আকস্মিক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ (২২ আগস্ট, বৃহস্পতিবার) তথ্য অনুযায়ী এতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুসারে আকস্মিক এ বন্যায় আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমাণ: মুন্সিগঞ্জে ২৩০.৭ হেক্টর, সিলেট ৩৩৮৯ হে., মৌলভীবাজারে ৪৩২৭১ হে., হবিগঞ্জ ৬৮৯৪হে., চট্টগ্রামে ১২০৮৯হে., কক্সবাজারে ৪২৮৯হে., নোয়াখালীতে ৩৬৭৪৫ হে, ফেনীতে ৩১৫৪৫ হে., লক্ষ্মীপুরে ৯৪৭৮হে., কুমিল্লায় ৬৫১৩৫হে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬৪১৪ হে. এবং চাঁদপুরে ১০৯২২হেক্টর ।
আক্রান্ত ১২ টি জেলার মোট ফসলের ক্ষতির পরিমাণ আউশ ৬৮,২০৯ হে., আমন ১,৩৮,৬১৯হে., বোনা আমন ৫৭০ হে., রোপা আমন বীজতলা ১২৯১০হে., শাক-সবজি ৯ ৫১৯হে., আখ ৩৮৪ হে. এবং পান ১৯১হেক্টর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে কৃষকদের জন্য বন্যা পরবর্তী সময়ে উঁচু এলাকায় আপদকালীন নাবী জাতের রোপা আমন বীজতলা তৈরি, ভাসমান বীজতলা তৈরি, স্থানীয় জাতের পরিবর্তে উফশী জাত আবাদ, স্বল্প মেয়াদী রোপা আমন ধানের (ব্রি ধান-৫৬, ৫৭, ৭৫, ৮৭) আবাদ, বন্যা সহনশীল জাত ব্রিধান-৫১, ৫২, ৭৯ জাতের আবাদ বৃদ্ধি, ভাসমান বেডে শাক সবজি আবাদের ব্যবস্থা করা, বস্তায় লতা জাতীয় ও মশলা (মরিচ,আদা) আবাদ, নাবী জাতের রোপা আমন, বিআর-২২, ২৩ এবং স্থানীয় গাইঞ্জা, আবছায়া চাষে, ডাবল ট্রান্সপ্লান্টিং পদ্ধতিতে রোপা আমন চাষ বৃদ্ধি ও ধানের অঙ্কুরিত বীজ সরাসরি বপন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও আকস্মিক বন্যাকবলিত দেশের জেলাসমূহে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল কর্মকর্তাগণের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ সময় বন্যাকবলিত এলাকায় কৃষকদের সেবা প্রদানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে কৃষি বিষয়ক পরামর্শ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় হতে কৃষকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।