নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশালের মাটি ও সবজিতে ভারী ধাতু সংক্রমণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) নগরীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলনকক্ষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসআরডিআই) আঞ্চলিক গবেষণাগারের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসআরডিআইর মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসআরডিআইর পরিচালক (সরেজমিন উইং) ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এবং এসআরডিআই বরিশালের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থপক হিসেবে ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. শরিফুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন এসআরডিআই সদর দপ্তরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিসুর রহমান।
এসআরডিআইর উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজী আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, নেছারাবাদের উপজেলা কৃষি অফিসার চপল কৃষ্ণ নাথ, দশমিনার উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহমেদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তুষার চক্রবর্তী, কৃষক মো. লিটু মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ডিএই, বিএআরআই, ব্রি, এসআরডিআই, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএডিসি, বিএসআরআইর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং কৃষক মিলে ৩০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি বলেন, মাটিতে ভারী ধাতু আধিক্যের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এগুলোর কোনোটি প্রাকৃতিক আবার কোনোটি হয় মনুষ্যসৃষ্ট। এর মধ্যে সেচকাজে ব্যবহৃত গভীর নলকূপের পানির মাধ্যমেও আর্সেনিকসহ অন্যান্য ধাতু সংক্রমণের আশঙ্কা আছে। শিল্পাঞ্চলের মাটিতে এগুলোর উপস্থিতি অনেক বেশি। যদিও বরিশালে এখনো সহনীয় পর্যায় রয়েছে। তারপরও এসব বিষয় নিয়ে আমাদের গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে। বিশেষ করে জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগের মাত্রা যেন সুষম হয়।