নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মোহাম্মাদ খালেকুজ্জামান বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে আউশআবাদের সুযোগ বেশি। এখানে সাধারণত বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে চাষাবাদ করা যায়। বাড়তি সেচের প্রয়োজন কম লাগে। তবে উৎপাদন বাড়াতে অবশ্যই উন্নতমানের হাইব্রিড এবং ইনব্রিড জাত ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রি হাইব্রিড ধান৭ যথেষ্ট উপযোগী।
তিনি গতকাল বুধবার বরগুনার আমতলীতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ আয়োজিত আউশ ধানের ফসল কর্তন ও মাঠদিবসের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আমন ধান আবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারী বর্ষণের কারণে আমনের বীজতলার কিছু ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ধানের চারার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিগোছায় ৩/৪ টির পরিবর্তে ১-২টি করে রোপণ করলে আশা করি চারার সঙ্কট হবে না। পরবর্তীতে ইউরিয়ার উপরি প্রয়োগ, সময়মতো পরিচর্যা আর বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অধিক ফলন পাওয়া যাবে। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত পরামর্শে আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং থাকব। কৃষক এবং কৃষিবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের শস্য ভান্ডারের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে ইনশা-আল্লাহ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মাদ আশিক ইকবাল খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এবং ব্রির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
ব্রির ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. প্রিয়লাল বিশ^াসের সঞ্চলায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমতলীর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইছা, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন, প্রদর্শনী চাষি মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার, কিষাণী লাকি আক্তার প্রমুখ। মাঠদিবসে তিন শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।