মো. এমদাদুল হক (রাজশাহী) : রাজশাহীতে Regional workshop on promotin Nutrient enrich crops (lentils) বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী ও Global Alliance for Improved Nutrition (GAIN) কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাহামুদুল ফারুক এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো: তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফাবলিহা আনবার, গেইন বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রজেক্ট পোর্টফোলিও লিড এর ড. আশেক মাহফুজ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসর প্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপপরিচালক (মনিটরিং) ড. মোঃ আবু জাফর আল মুনছুর।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ মো: তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, গেইন মূলত বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন্নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর খাবার ও পুষ্টি সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধান করা। বাংলাদেশেও গেইন বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর খাবার ও পুষ্টি সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। গেইন পুষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজন করে থাকে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ করার লক্ষ্যে নির্ধারণ করতে হবে এবং এমর্মে সকলকে কাজ করতে হবে। ডাল ফসল উৎপাদনের মাধ্যেমে আমাদের পুস্টির চাহিদা অনকে পূরণ করে থাকে। মসুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ডাল জাতীয় খাদ্য। এতে প্রোটিনের পাশাপাশি অন্যান্য খনিজ ও পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যার শরীর গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজন। গবেষণা কতৃক উদ্ভাবিত নতুন জাতের সম্প্রসারণ, উপযুক্ত জমি নির্বাচন, সেচ, সার ও বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
এছাড়াও নতুন ফসল বিন্যাসের মাধ্যমে মসুরের আবাদি এলাকা বাড়িয়ে ফলন বৃদ্ধি করা যাবে। এজন্য এর উৎপাদন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন বিপণণ ও বিভিন্ন নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলার কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকগণ, রাজশাহী অঞ্চলের ৪টি জেলার উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বিএডিসি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ কৃষক ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ি ও অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের ৬০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।