বৃহস্পতিবার , নভেম্বর ২১ ২০২৪

রাজশাহীতে গবেষণা পর্যালোচনা ও ভবিষৎ গবেষণা কর্মসূচী প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রাজশাহী সংবাদদাতা: মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র শ্যামপুর, রাজশাহীর এর আয়োজনে রাজশাহীর আঞ্চলিক গম ও ভুট্টা গবেষণা কেন্দ্রের  সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী গবেষণা পর্যালোচনা (২০২৩-২৪) ও ভবিষৎ গবেষণা কর্মসূচী প্রণয়ন (২০২৪-২৫) শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর, নশিপুর পরিচালক (পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তর উইং) কৃষিবিদ ড. মো: আলমগীর মিয়া। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট যশোহর আঞ্চলিক কেন্দ্র এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো.ইলিয়াছ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়া অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ ও রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক  কৃষিবিদ মো: মাহমুদুল ফারুক। কর্মশালায় গম চাষের বর্তমান পরিস্থিতি ও চাষাবাদ সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকার্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. জাহেরুল ইসলাম। গম ও ভুট্টার নতুন জাত উদ্ভাবন, রোগ ও পোকা নিয়ে আলোচনা করে এবং গম ও ভুট্টা  উৎপাদন বৃদ্ধি করে স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন ।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষের নিরাপদ খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতকরণের ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। এজন্য লাভজনক, টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব একটি কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করণের চেষ্টা চলছে। গম ও ভুট্টা  বাংলাদেশের দানা ফসল চাষাবাদ বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ প্রয়োজন । ব্লাস্ট গমের একটি মারাত্বক রোগ; ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত হিসেবে ‘বারি গম-৩৩’ নামে জাতটি মাঠ পর্যায়ে বেশ ভাল। এই জাত ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধে সক্ষম এর জীবনকাল ১০৮-১১৪ দিন। জাতটির গাছ শক্ত, শিষ লম্বা এবং প্রতি শিষে দানার সংখ্যা ৪৮-৫৪টি। দানার আকার মাঝারি, রং সাদা চকচকে এবং হাজার দানার ওজন ৪২-৪৬ গ্রাম। গাছের রং গাঢ় সবুজ। উপযুক্ত পরিবেশে হেক্টরপ্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মেট্রিক টন। জাতটি ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বপনের উপযুক্ত সময়। তবে মধ্যম মাত্রার তাপ সহনশীল হওয়ায় এটি ৫ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বপন করলে অন্য জাতের তুলনায় বেশি ফলন পাওয়া যায়। কর্মশালায় গবেষণা পর্যালোচনা ও ভবিষৎ গবেষণা কর্মসূচী প্রনয়ন নিয়ে ও সমসাময়িক বিষয় এবং গমচাষের সমস্যা সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ভুট্টার হাইব্রিড জাতের ফলন  ও আবাদ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।  রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ কৃষিবিদ মো: মাহমুদুল ফারুক বলেন, গম ও ভুট্টা  আবাদের জন্য আগামী মৌসুমে বীজ সার প্রযোজনীয় তথ্য কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা গেলে গম ও ভুট্টার উৎপাদনের লক্ষ মাত্রায় পৌছা সম্ভব বলে জানান।

This post has already been read 517 times!

Check Also

মাসকলাইয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেশে

মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী): বাংলাদেশে পতিত ও অব্যবহৃত জায়গাতেও পরিকল্পিতভাবে ফলমুল ও শাকসবজি চাষ করা …