শনিবার , ডিসেম্বর ২১ ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে ফসলের ক্ষতি নিয়ে বেশি আলোচনা হলেও  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কে খুব কম আলোচনা হয়ে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।

আজ (২৮ অক্টোবর) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এফএও বাংলাদেশ আয়োজিত “কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ”-প্রকল্পের আওতায় “ক্লাইমেট চেঞ্জ রিস্ক অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট” (সিআরভিএ)-শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যা সমস্যা প্রায়শ:ই ঘটছে। এ সমস্যার জন্য শুধু  বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে না বরং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো অনেকাংশে দায়ী। এ ব্যবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ক্রস কান্ট্রি ও  ক্রস বাউন্ডারি আলোচনা দরকার।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনে নারী-পুরুষ উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত উল্লেখ করে বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনে আরও বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে  আরও বেশি জনগণকে বিশেষকরে নারীদের অর্ন্তভূক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

কর্মশালায় বক্তারা  জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে টেকসই মৎস্য ও মৎস্য চাষ উন্নয়ন করা। বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল ও মৎস্য খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে  ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য স্থানীয় জনগণকে অভিযোজিত ও টেকসই কৌশল শেখানো এবং বাস্তবায়নে  আরো বেশি সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেছেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি (Jiaoqun Shi), ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ  উপস্থাপন করেছেন সিইজিআইএসের প্রজেক্ট এক্সপার্ট মোহাম্মদ মুকতারেজ্জামান, এফএও এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড.মো:আবুল হাসনাত,স্বাগত বক্তৃতা করেছেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো: শামসুদ্দিন, খুলনার ডুমুরিয়া মৎস্যচাষী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মিস মুক্তা বিশ্বাস প্রমুখ।

কর্মশালায়  বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2599 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …