নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, সরকার পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
উপদেষ্টা সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গবেষক ও বিজ্ঞানীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রীফকালে এসব কথা বলেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. নার্গিস আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা পাটের তৈরী পণ্য সবচেয়ে বেশি পরিবেশ বান্ধব উল্লেখ করে বলেন, পাটের ভবিষ্যত অবশ্যই আছে, এর বহুল ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। পাট শাক, পাটের চাও খাওয়া যায়।
পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানী করে দেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতো-উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখন আর সেই দিন নেই। কৃষক অন্য কিছু উৎপাদন করে লাভবান হয়, তাই পাট চাষে আগ্রহী হয় না। তাই কিভাবে পাটের উৎপাদন বাড়ানো যায়-তা নিয়ে আজকে এ সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের সাথে আলোচনা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত ৫৬ ধরনের পাটজাত আবিস্কার করেছেন। পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকার সচেষ্ট। পাট চাষে কৃষককে উৎসাহিত করার উপর গুরুত্ব দেন উপদেষ্টা।
সরকার পলিথিন ব্যবহার বন্ধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে বাজারে পলিথিনের ব্যবহার অনেক কমে গেছে। আগামীতে পুরোপুরিই বন্ধ হয়ে যাবে, হয়তো কিছু সময় দিতে হবে।
তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধ করে এর বিকল্প হিসেবে পাটের তৈরী ব্যাগ বাজারজাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের পাটের ব্যাগ নমুনা হিসেবে তৈরী করা হয়েছে। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে-কিভাবে কম দামে পাটের ব্যাগ সরবরাহ করা যায়।
মতবিনিময়কালে কৃষি উপদেষ্টা পাট বীজ উৎপাদন বাড়ানো, সাশ্রয়ী মূল্যে পাটজাত দ্রব্য সরবরাহের উপায় খোঁজা, কৃষকদের জন্য পাটচাষ লাভজনক করার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার জন্য বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
পরে উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করেন।