নিজস্ব প্রতিবেদক: জুনোটিক ডিজিজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্হান অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করে মিস. গোয়েন লুইস বলেছেন, একদিকে মিয়ানমার অন্যদিকে ভারতের বিস্তীর্ণ সীমান্ত থাকায় পশু-পাখি দ্বারা জুনেটিক ডিজিসের ঝুঁকির মধ্যে আছে বাংলাদেশ।
আজ (৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস.গোয়েন লুইস (Ms.Gwyn Lewis) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে লুইজস এসব কথা বলেছেন। জুনোটিক ডিজিস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জাতিসংঘকে সহযোগিতার আহ্বান জানালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেছেন, জাতিসংঘ আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে গৃহীত কার্যক্রমকে আরো জোরদার করবে।
জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, দেশের জনগণের সুস্হতা নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ, কৃষিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট অঙ্গসংগঠনসমূহ বাংলাদেশ সরকারকে আর্থিক ও টেকসই উন্নয়নে আরও সহযোগিতা করতে পারে ।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিস.গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশ ওয়ান হেলথের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে মডেল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ব্লু ইকোনমি এবং ওয়ান হেলথ কার্যক্রমে জাতিসংঘের সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করণে পারস্পরিক মতবিনিময় করেছেন তারা।
সাক্ষাৎকারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সিনিয়র হিউম্যান রাইটস অ্যাডভাইজার মিস.হুমা খান (Ms.Huma Khan) উপস্থিত ছিলেন।