বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

কর্নফুলী নদী তীরে তরুণদের দাবি “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, পৃথিবী বাঁচান”

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: আজারবাইজানের বাকুতে শুরু হওয়া কপ২৯ সম্মেলনের প্রাক্কালে বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন আইএসডিই (Integrated Social Development Effort-Bangladesh), কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) উদ্যোগে আজ (১৪ নভেম্বর)) চট্টগ্রামে একটি ব্যতিক্রম ধর্মী প্রতীকী প্রচারণার আয়োজন করে।  প্রচারণায় তারা একটি পৃথিবী সদৃশ কোণ আইস্ক্রিমকে রুপক হিসেবে তুলে ধরেন। এই প্রচারণার মূল বার্তা ছিল, “Earth is Not a Cone—Stop the Meltdown!” বিশ্বউষ্ণায়ন বন্ধের এই আহ্বান জলবায়ু সুবিচার দাবি করে জলবায়ুর পরিবর্তনের বিপর্যয় রোধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

প্রচারণায় বক্তারা বলেন জ্বালানি গ্যাস এবং অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারের ফলে উদ্ভূত জলবায়ু পরিবর্তন ও গ্রহের ক্রমশ উষ্ণায়নের প্রভাব তুলে ধরেন। তারা আরও বলেন, “অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি রোধ” এবং “পৃথিবীর বরফ গলা কমিয়ে আনা।” অবিলম্বে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ না করলে পৃথিবীর উষ্ণায়ন রোধ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি, “অতিরিক্ত তাপমাত্রার বৃদ্ধির কারনে বরফ গলে যাচ্ছে ও পানির উচ্চতা বাড়ছে। ফলে  এই মেরু অঞ্চল ও উপকূল কেন্দ্রিক যে জীব বৈচিত্র্য তা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও আইএসডিই‘র নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন, “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমাদের গ্রহকে রক্ষা করতে হলে আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে রাশ টানতে হবে। আর আমাদের হাতে সময় নেই । আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো এর মাশুল আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে হবে।” যা আমাদের সকলের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারন হবে।

এই প্রচারণা কর্মসূচিতে অন্যান্যরে মধ্যে জেলা সামাজিক উদ্যেক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, আইএসডিই’র কর্মসুচি কর্মকর্তা আবু হাসান আজমী, ক্যাব যুব গ্রুপ কর্নফুলী উপজেলঅ সভাপতি আরফিন সুমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সিরাতুল মুনতাহা, যুব গ্রুপের সদস্য জাবেদুল ইসলাম, ইমরান হোসেন তারা, মুহাম্মদ আরমান উদ্দীন তানজিদ, মির্জা আরাফাত জুয়েল, জাহিদুল ইসলাম, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমাইয়া, জমির উদ্দীন সাইমন, সাজ্জাদ হোসেন রনি, সাকিবুর মাহি, আয়শা সিদ্দিকা, সোহরাব হোসেন সৈকত, সালাহউদ্দীন মুন্না, ডলি আকতার, রাজিয়া সুলতানা রিনা, জান্নাতুল ফেরদৌস জুয়েনা, আশরাফুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, খোরশিদা তাবাসসুম বর্ষা, নাঈম উদ্দীন, সাইফাতুল জান্নাত আইমিন, সাইফ আল নাঈম, মেহেদী হাসান জয়, আফতাব আহমেদ, ইমতিয়াজ হোসেন মিরাজ, সাদিয়া জাহান সিথিী, জাহেদুল ইসলাম, মুহিবুল ইসলাম মুহিবসহ বিভিন্ন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক অংনেন। এই প্রচারণার মাধ্যমে তারা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করেন। প্রচারণাটি একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়ে কপ২৯ সম্মেলনের আন্তর্জাতিক নেতৃবন্দের নজরে আনার চেষ্টা করেন।

This post has already been read 1105 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …