শনিবার , ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৫

কীটনাশকের ভয়াবহতা: দেশের ৪২% কৃষক ক্যান্সারে আক্রান্ত

ফরিদপুর সংবাদদাতা :  আমরা যেসব কীটনাশক ব্যবহার করছি সেটাতে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি দেখা চাচ্ছে। আমাদের দেশে ৪২% কৃষক ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা যদি সঠিকভাবে কীটনাশক ব্যবহার করতে পারি তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা পাবে তেমনই আমাদের জীবন থাকবে নিরাপদ।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় -এর কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. গোপাল দাস উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশে অত্যন্ত বিপদজ্জনক কীটনাশক (HHP) রাসায়নিকের উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. গোপাল দাস  বলেন, যেসব কৃষক প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন আপনারা সবাই জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করবেন এবং অন্য কৃষকদের এই কথাগুলো পৌছে দিবো। এতে করে আমরা সকলেই উপকৃত হতে পারি এবং কীটনাশকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুর অঞ্চল ফরিদপুরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড. মো. রমিজ উদ্দিন, কৃষি বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ।

কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, রাজবাড়ীর উপপরিচালক, ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম, শরিয়তপুরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন, মাদারিপুরের উপপরিচালক ড. সন্তোষ চন্দ্র চন্দ, গোপালগঞ্জের উপপরিচালক, আঃ কাদের সরদার,  হর্টিকালচার সেন্টার ফারিদপুরের উপপরিচালক, মোঃ জসীম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং অন্যান্য দপ্তরের ৩০ জন কর্মকর্তা ও কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ফরিদপুরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মোঃ রইচ উদ্দিন।

This post has already been read 3013 times!

Check Also

খাদ্য উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ (Syed Ahmed Maroof) খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের …