রংপুর সংবাদদাতা: মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য অভয়াশ্রম বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশীয় মাছ খাদ্য তালিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেলক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিনিয়ত কাজ করছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার কচুয়া বাজারে কেএন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারিদের গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
স্হানীয় মৎস্যজীবীরা জেলে কার্ড বৃদ্ধি, ইলিশ মৌসুমে খাদ্য নিরাপত্তা, মৎস্য অভয়াশ্রম, তিস্তা নদী খননের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় প্রান্তিক খামারিরা বলেন, তিস্তার চরাঞ্চলে মহিষের ভাল সম্ভাবনা আছে। এখানে মহিষ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ভুট্টা গাছ থেকে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্টমানের গো-খাদ্য। যা সারা বছর ডেইরি খামারি ও গরু পালনকারীদের গো-খাদ্যের যোগান দিতে পারে। ভুট্টা গাছ থেকে উৎকৃষ্টমানের গো-খাদ্য তৈরি পদ্ধতি গংগাচড়াতে চালুর জন্য অনুরোধ করেন তারা।
বক্তারা বলেন, তিস্তার পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। শুধু পরিবেশ নয় অর্থনীতিতে ভীষণ প্রভাব পড়ছে যার ফলে তিস্তা অববাহিকার মানুষকে এ যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, তিস্তার এ দুঃখ লাঘবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে করণীয় বিষয়ে উত্থাপন করা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, এ অঞ্চলের মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারিদের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইলিশ এখন তিস্তায়ও পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামীতে ৪০ কেজি মাসিক ভিজিএফ এর পরিবর্তে ৫০ কেজি এবং ২৫ কেজি এর পরিবর্তে ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গংগাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন তিস্তা নদীরক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)’র প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রংপুরের পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মো. সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া প্রমুখ। গণসমাবেশে স্থানীয় মৎস্যজীবী, প্রান্তিক খামারি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।