রাজশাহী সংবাদদাতা: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, উপকেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ” প্রকল্পের আওতায় বিনা উদ্ভাবিত স্বপ্নজীবনকাল ও উচ্চফলনশীল জনপ্রিয় বিভিন্ন ফসলের জাতসমূহ এবং প্রযুক্তি বিষয়ক আঞ্চলিক কর্মশালা” বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজশাহীর পোস্টাল একাডেমী কমপ্লেক্স এর উত্তর প্রান্তিয় কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহের মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন প্রফেসর ও মো. আব্দুল আলিম, ময়মনসিংহ বিনা পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস), ড. মো. মঞ্জুরুল আলম মন্ডল ও ময়মনসিংহ বিনা উপপ্রকল্প পরিচালক, বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী অতিরিক্ত পরিচালক মো. মাহমুদুল ফারুক।
অনুষ্ঠানে পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, আউশ এবং আমন মৌসুমে আবাদ উপযোগী পরমাণু কৃষি গবেষণা ফলনের দিক থেকে ভালো এধরনের অনেক জাতের ধান উদ্ভাবন করে যার ফলন ভাল। আউশ মৌসুমে বপন অথবা রোপন দুই পদ্ধতিতেই ধানের চাষ করা যায় এমন ধান রয়েছে বিনার। পরিবেশ বান্ধব পানি সাশ্রয়ী ক্ষরা সহিষ্ণু এবং স্বল্প জীবন কাল বিশিষ্ট এমন ধান উদ্ভাবনে রয়েছে। ধানগুলোর ভাত খেতে বেশ মিষ্টি, চাউল সরু চিকন এবং সাদা। বিনা উদ্ভাবিত স্বপ্নজীবনকালীন ও উচ্চফলনশীল জনপ্রিয় বিভিন্ন ফসলের জাতসমূহ এবং প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করে।
প্রধান অতিথি বলেন, পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বৈরী আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়ার উপযোগী উদ্ভাবন করেছে যা কৃষকের জন্য লাভজনক। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো ভাল উচ্চফলনশীল রোগবালাই প্রতিরোধী এমন উন্নত ভাল বেশি ফলন দিয়ে থাকে এমন জাত উদ্ভাবন করলে কৃষক-কিষানী এসকল জাত আবাদের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে এধরনের ধান আরো উদ্ভাবন করতে হবে বলে জানান। এছাড়াও সমসাময়ীক বিষয়ে আলোচনা করে।
উক্ত কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, নাওগাঁ, নাটোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বিএডিসি, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি , ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, বিএমডিএ, হর্টিকালচার সেন্টার, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান), অতিরিক্ত উপপরিচালক (পিপি), উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি বিপণণ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ি ও অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।