নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত পরিচিতি, চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ বরিশালের বাবুগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রহমতপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) হলরুমে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। বরিশালের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ইয়াসমীন, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আকতার।
প্রশিক্ষণে আরো বক্তব্য রাখেন বিনা উপকেন্দ্র বরিশালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, গোপালগঞ্জের বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান, বিনা বরিশালের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদ আল নুর, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, গৌরনদীর কৃষক সবুজ হাওলাদার ও বাবুগঞ্জ উপজেলার কৃষক কবীর হোসেন প্রমুখ। প্রশিক্ষণে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক মিলে শতাধিক প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে আমন ধান কাটতে দেরি হওয়ায় সরিষা সময়মতো রোপণ করা যায় না। তবে বিনাসরিষা-৯ জাতটি দেরিতেও লাগানো যায়। এই জাতের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। চারা অবস্থায় ৩ থেকে ৫ দিন পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। এই জাতটি রিলেক্রপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফলে দুই ফসলের উৎপাদন সময় কিছুটা কমে যায়। তাই এই জাতটি বরিশাল অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে এখানকার শস্যনিবিড়তা বেড়ে যাবে। পাশাপাশি কৃষকরা হবেন লাভবান।