পাবনা সংবাদদাতা: পাবনা অঞ্চলে কৃষকের মাঝে কৃষি বনায়ন প্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাবনা’র আয়োজনে পাবনা সদর উপজেলাস্থ মধুপুর গ্রামে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এসময় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. রবিউল ইসলাম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর। প্রশিক্ষণে ড. কাজী নূর এ আলম জুয়েল, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, ঢাকা; কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা; সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, পাবনা’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. শামীম হোসেন মোল্লা, ড. আরিফুল ইসলাম, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সেশন পরিচালনা করেন।
দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে আলোচকবৃন্দ বলেন, কৃষি বনায়ন হচ্ছে একই জমি থেকে যুগপৎ কিংবা পর্যায়ক্রমিকভাবে কৃষিপণ্য বা ফসল এবং বনজ দ্রব্য উৎপাদন করা। এ পদ্ধতিতে বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল বৃক্ষের নিচে ও আশেপাশে একবর্ষজীবী বা মৌসমী উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদন করা যায়। কৃষি বনায়ন হলো সনাতন ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। কৃষিজ ও বনজ বৃক্ষের সম্মিলিত চাষাবাদের ফলে একজন কৃষক ভূমির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে অধিকতর উৎপাদন ও মুনাফা অর্জন করতে পারেন। বক্তারা আরো বলেন, ফল বাগান স্থাপনের পর একটি ফসল নিয়ে জমি ফাঁকা ফেলে না রেখে সহজেই উচ্চ মূল্যের ফসল হিসেবে ধনিয়া, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রোকলি, গাজর, লাউ, মৌলভী কচু, মিষ্টিকুমড়াসহ মৌসুমী বিভিন্ন শাক-সবজি ও ডাল ফসল চাষ করা যায়। এসকল ফসল পুষ্টি উপাদান গ্রহণের জন্য ফল বাগানের সাথে প্রতিযোগিতা করে না বরং ডাল ফসল মাটিতে পুষ্টি উপাদান যোগ করে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনে মাটি পরীক্ষা করে সার প্রদান, বালাই দমনে অনুমোদিত জৈব কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকের সুষ্ঠ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। বক্তারা প্রশিক্ষণ হতে আহরিত প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞানকে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের প্রতি প্রশিক্ষণার্থীদের আহবান জানান।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। মধুপুর গ্রামে সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাবনা স্থাপিত ফল বাগান ভিত্তিক কৃষি বনায়নে বিভিন্ন ফসলের উপযোগীতা যাচাই এর প্রদর্শনী দেখে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ সন্তোষ ও আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রশিক্ষণে পাবনা সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।