নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের মৎস্য খাতকে আরও লাভজনক করতে বিশ্বখ্যাত কোম্পানি জাপফা কমফিড বাংলাদেশ পিটিই লিমিটেড বাজারে এনেছে এসটিপি ফ্লোটিং ফিশ ফিড। ইন্দোনেশিয়ান প্রযুক্তিতে প্রস্তুত এই ফিড মাছ চাষিদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভের পরিমাণ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, ক্যাটফিস ও মিশ্র মাছ চাষের জন্য উক্ত ফিড নিয়ে আসা হয়েছে, যা থাকবে সম্পূর্ণ অয়েল কোটেড।
গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির গাজীপুরে অবস্থিত ফ্যাক্টরিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই ফিডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জাপফা কমফিড বাংলাদেশ পিটিই লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিপ্লব কুমার সরকার, বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ মসিউর রহমান, প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাই চেইন হেড মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, কিউসি ও নিউট্রিশন বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আরিফুল হক ও প্রোডাকশন ম্যানেজার কমল চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে ডা. বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, “দেশের মাছ চাষিরা দীর্ঘদিন ধরেই গুণগত মানের ফিডের অভাবে ভুগছেন, যা তাদের উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে লাভজনক চাষ নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষিদের পাশে দাঁড়াতেই জাপফা কমফিড উন্নতমানের এই ফিড বাজারে এনেছে, যা সর্বনিম্ন খাদ্য রূপান্তর হার (FCR) নিশ্চিত করবে।”
বাজারের অন্যান্য ফিডের চেয়ে জাপফার এসটিপি ফিশ ফিড কেন আলাদা?
জাপফা কমফিড বাংলাদেশ-এর বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ মসিউর রহমান জানান, “এই ফিড আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি মাছের দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।”
তিনি আরো জানান-
✅ এটি অভিজ্ঞ মৎস্য পুষ্টিবিদদের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত ও মান নিয়ন্ত্রিত।
✅ উন্নত কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি হওয়ায় মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
✅ সর্বনিম্ন FCR নিশ্চিত করে, ফলে কম খাদ্যে বেশি উৎপাদন সম্ভব।
✅ দ্রুত হজমযোগ্য হওয়ায় মাছ সহজেই পুষ্টিগুণ গ্রহণ করতে পারে।
✅ চাষের সময় কম লাগে ও উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়।
✅ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।
নতুন এই ফিড বাজারে ইতিবাচক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের মৎস্য খাতে এর কী ধরনের প্রভাব পড়ে, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন মাছ চাষিরা।