নিজস্ব প্রতিবেদক : গবাদিপ্রাণির মারাত্মক ক্ষতিকর রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD) এর ভ্যাকসিন উৎপাদনসহ গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করতে ৫০ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। যদিও বেসরকারিভাবে আমদানি করা ভ্যাক্সিনের দাম কোম্পানি ভেদে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
উপদেষ্টা আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কতৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সেল কালচার পদ্ধতিতে এ রোগের ভ্যাকসিন তৈরি হয় বিধায় আনুমানিক ৩ মাসের মধ্যে এ ভ্যাকসিনের ১ম লট জেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা সম্ভব হবে-জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আমরা আনন্দিত যে সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্যাকসিনের সিড তৈরি করেছে। উক্ত সিড গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ অধিদপ্তরের অধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (এলআরআই), মহাখালীতে সিড থেকে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, সারাদেশে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (LSD) এর কারণে দেশের খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কিন্তু খুব দ্রুত এই রোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং বর্তমানে এ রোগ খামারিদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ। এই রোগের আক্রান্তের হার প্রায় ৩০% এবং আক্রান্ত গবাদিপশুর ৫-১০% মারা যায়, যা খামারিদের জন্য খুব উদ্বেগের কারণ। সরকার ভ্যাক্সিন আমদানির মাধ্যমে এই রোগের মোকাবেলা করছেন যা খুব ব্যয় সাপেক্ষ। এর ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মাঠে এ ভ্যাকসিন সীমিত ব্যবহার করে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে যাতে খামারিগণ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিনের নিশ্চয়তা পান। ভ্যাক্সিন উৎপাদিত হয়ে গেলে মাঠ পর্যায়ে এলএসডি ভ্যাক্সিনের মূল্য ৫০ টাকা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে উৎপাদন কাজ পুরোদমে শুরু হওয়ার পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে LSD ভ্যাকসিনের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।