পাবনা সংবাদদাতা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়ার আয়োজনে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক কর্মশালা বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকাল ৯.০০ ঘটিকায় হলরুম, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ), বগুড়ায় দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে মো. আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত পরিচালক, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন, মো. ছাইফুল আলম, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রকল্প পরিচালক, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন শীর্ষক প্রকল্প, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা। কি-নোট উপস্থাপন করেন ড. মো. শহিদুল আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, বগুড়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহী অঞ্চল, রাজশাহী ও মো. মতলুবর রহমান, অধ্যক্ষ, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিঁউট, ঈশ্বরদী, পাবনা।
সভায় প্রধান অতিথি তাঁর ভার্চুয়াল বক্তব্যে বলেন সরিষা একটি শীতকালীন ফসল আমরা জমি পতিত না রেখে সরিষা চাষের ফলে জমিতে ফসলের নিবিড়তা বাড়বে ও একটি বাড়তি ফসল হিসেবে বিবেচিত হবে। জমিতে সরিষা চাষ, উর্বরতা রক্ষা করে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বারি ও বিনা বেশ কয়েকটি সরিষার উন্নত ও স্বল্পমেয়াদী জাত উদ্ভাবন করেছেন। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আমরা কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। দেশে তেলের ঘাটতি পূরণ হলে আমাদের তেল আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। প্রতিদিন আমাদের চাষযোগ্য মাথাপিছু জমির পরিমান কমছে। যেকোন পতিত জমিতে সহজেই তেল ফসল চাষ করা যায় এবং অন্যান্য ফসল উৎপাদনের চেয়ে খরচও কম হয়। পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে যার যতটুকু সুযোগ আছে উপস্থিত সবাইকে তেল ফসল চাষাবাদের জন্য আহবান করেন তিনি।
সভায় বগুড়া ও রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিসহ ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।