Tuesday , April 15 2025

সত্যিকারের মৎস্যজীবীরা আইন ভঙ্গ করেনা, জাটকা ধরেনা- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্ভোধনকে উৎসাহব্যঞ্জক উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তারা আইন ভঙ্গ করেনা, জাটকা ধরেনা। জাটকা ধরে দুষ্ট ব্যবসায়ীরা। যারা দাদন দিয়ে ব্যবসা করে; জেলেদেরকে আটক করে রাখে তারাই মূলত দুষ্ট ব্যবসায়ী।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে দয়ালভরসা মৎস্য বাজারে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু কাজ করে যেতে চায়। যেখানে মানুষ বৈষম্যের শিকার, অবিচারের শিকার, যেখানে মানুষ কষ্টে আছে সেখানেই বর্তমান সরকার মানুষের দুঃখ লাঘবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশের জন্য মাছের আড়তদারদের অবদানের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যাত্রাবাড়িতে একটি কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসম্মত বাজার তৈরি করা হবে এবং যেখানে আলাদা আলাদা করে থাকবে সবকিছু। তিনি আরো বলেন, কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে স্হানীয় সরকার মন্ত্রণলয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় যাত্রাবাড়িতে স্বাস্থ্য সম্মত বাজার তৈরি করা হবে।

মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে বাজারে আড়তদারসহ মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করা হবে। তবে দয়া করে মাছের দাম অহেতুক বাড়াবেননা। অনেকেই জাটকাকে ইলিশ মনে করে; আবার যারা হিমায়িত ইলিশ সরবারহ করছে তারা মানুষকে ভুল বার্তা দিচ্ছে। কারণ পহেলা বৈশাখে পান্তা ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এসময় কোন ইলিশ সরবারহ করা হবে না সেবিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, জুনের পর এই জাটকা যখন ইলিশে পরিণত হবে তখন তা বাজারে আসবে। বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষ; খেটে খাওয়া মানুষ হয়তোবা ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারেনা। তাহলে ইলিশ মাছ যেন আমরা কিনে খেতে পারি সে কাজটিই আমাদের করতে হবে। জুনের পর ইলিশ যেন ক্রয় সীমার মধ্যে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি আড়তদের উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রতিজ্ঞা করেন জাটকা ধরবেন না আর জুনের পর ইলিশের দাম অহেতুক বাড়াবেন না।”

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদা খানম, উপপরিচালক সাজদার হোসেন, ঢাকা জেলা  মৎস্য কর্মকর্তা ড. আয়েশা সিদ্দিকা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকরীদের পক্ষে মো. ফেরদৌস, দয়াল ভরসা মৎস্য আড়তের সভাপতি দিব্যেন্দু রায় ভুলু বাবু, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, ইলিশ ব্যবসায়ী, জীবিত রুই মাছ বিক্রেতা, জীবিত মাছ বিক্রেতা, পাঙ্গাস মাছ বিক্রেতা, চিংড়ি মাছ বিক্রেতা, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিক্রেতা, মাছ কাটা শ্রমিকরা এসময় বক্তৃতা প্রদান করেন।

This post has already been read 51 times!

Check Also

ডিজিজের প্যাটার্নে হিউম্যান ও এনিমেলকে আলাদা করা যাচ্ছে না- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, করোনার পূর্বে ও পরে ডিজিজের যে …