নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস। প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ শনিবার এ দিবসটি পালন করা হয়, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ভেটেরিনারি পেশাজীবীদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং প্রাণি স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে তুলে ধরা।
এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো “ভেটেরিনারি পেশায় স্থিতিশীলতা ও মানসিক স্বাস্থ্য”, যা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ভেটেরিনারিয়ানরা শুধু পশুদের চিকিৎসাই করেন না, তারা রোগ প্রতিরোধ, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং মানুষের রোগ নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশে ভেটেরিনারি চিকিৎসা পেশাটি দিন দিন গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে পশুপালন একটি বড় খাত হওয়ায়, প্রাণির স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খামারিদের আর্থিক নিরাপত্তার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দেশের বিভিন্ন পশু হাসপাতাল, প্রাণি সম্পদ অফিস এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ানরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রাণি ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে।
দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি কলেজ, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলো র্যালি, সেমিনার, প্রাণি চিকিৎসা ক্যাম্প ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, প্রাণির স্বাস্থ্য রক্ষা মানেই মানুষের স্বাস্থ্য ও সুস্থ সমাজ গঠন। তাই সমাজে এই পেশার প্রতি সম্মান ও সচেতনতা বৃদ্ধির এখন সময়।
উল্লেখ্য, World Veterinary Association (WVA) ও World Organisation for Animal Health (OIE)-এর যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস প্রথম পালিত হয় ২০০১ সালে। সেই সময় থেকে প্রতি বছর এপ্রিলের শেষ শনিবার এই দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে, যেখানে ভেটেরিনারি পেশার গুরুত্ব, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয় বিশ্বজুড়ে।