আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মি. শাহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “সাধু সন্তদের একটা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পৃথক গো-মন্ত্রণালয়ের। ভারতীয় জনতা পার্টি যখন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় রয়েছে, এ নিয়ে কি আপনারা ভাবনা-চিন্তা করছেন?”
জবাবে মি. শাহ বলেন, “অনেক পরামর্শ, দরখাস্ত এসেছে। এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে”।
বিজেপি প্রেসিডেন্ট যখন এই কথা বলেন সেসময় তার পাশেই ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যিনি বেশ কয়েকবছর আগেই গো-রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরির দাবি জানিয়েছিলেন।
ভারতের শুধুমাত্র একটি রাজ্যে গরুদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় আর দপ্তর রয়েছে।
রাজস্থানের বিজেপি শাসিত সরকারের অধীনে গো-পালন মন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী এবং একটি নির্দেশনালয় রয়েছে।
দুই মন্ত্রী ছাড়াও সেখানে ডিরেক্টর থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী – সব মিলিয়ে ২৩ জন কাজ করেন।
কেন্দ্রীয় সরকার আর অন্য সব রাজ্যেই গো-পালনের বিষয়টি প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতাধীন।
তবে কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইন করে গো-রক্ষা কমিশন তৈরি হয়েছে। তারা গো-পালন, গরু পাচার রোধ প্রভৃতি কাজ দেখাশোনা করে থাকে।
হরিয়ানাতে আবার গো-রক্ষার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকার যদি গরুর জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় তৈরি করে, তার কাজ কী হবে, কেমন হবে সেটির আকৃতি, তা নিয়ে অবশ্য এখনও কিছুই জানা যায় নি।
সূত্র : বিবিসি