এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক:আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ৯টি পুষ্টি উপাদান আছে গরুর মাংসে।এগুলো হলো প্রোটিন,জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২,সেলেনিয়াম,ফসফরাস,নায়াসিন,ভিটামিন বি৬,আয়রন এবং রিবোফ্লেভিন।প্রোটিন শরীরের পেশী গঠনে ভূমিকা রাখে,জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়,ফসফরাস দাত ও হাড়ের শক্তি বাড়ায়, আয়রন শরীরের পেশিগুলোতে অক্সিজেন প্রবাহে সহায়ত করে এবং ভিটামিন বি১২ খাদ্য থেকে শক্তি যোগান দেয়।৩ আউন্স গরুর মাংস থেকে যেই পরিমাণ জিংক আসে সেই পরিমাণ জিংক পেতে আপনাকে খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ১১ টুকরো টুনা মাছ,এই পরিমাণ আয়রনের জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ৭ টুকরা মুরগির বুকের মাংস, সম পরিমাণ আয়রনের জন্য খেতে হবে ৩ কাপ স্পিনাচ, এই পরিমাণ রিবোফ্লেভিন এর জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের আড়াই টুকরা মুরগীর বুকের মাংস এবং এই পরিমাণ থায়ামিন এর জন্য খেতে হবে ৩ আউন্স ওজনের ২ টুকরা মুরগীর বুকের মাংস।
বর্ধনশীল বাচ্চা বা টিনএজার দের সমর্থ ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে গরুর মাংসের তুলনা নেই। শুধু শারীরিক বর্ধন নয়,বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন এবং রক্ত বর্ধনেও এটি ভূমিকা রাখে। ৩ আউন্স গরুর মাংসে আছে ৯-১৩ বছর বয়সী বাচ্চার দৈনিক চাহিদার ১২৫% ভিটামিন বি১২,৯০% প্রোটিন,৭৪% জিংক, ৪২% সেলেনিয়াম, ৩২% ভিটামিন বি৬,৩২% আয়রন,২৯% নায়াসিন,২৩% রিবোফ্লেভিন এবং ১৬% ফসফরাস।
৩ আউন্স sirloin অঞ্চলের মাংসে কোলেস্টেরল এর মাত্রা ৪৭ মিগ্রা এবং ৩ আউন্স round অঞ্চলের মাংসে কোলেস্টেরল এর মাত্রা ৫৩ মি.গ্রাম। একজন সুস্থ্য মানুষের কোলেস্টেরল -এর দৈনিক নিরাপদ মাত্রা হলো ৩০০ মিগ্রা এবং হার্টের রোগীর জন্য ২০০ মিগ্রা। সুতরাং ৩ আউন্স গরুর মাংসে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিরাপদ সীমার অনেক নীচে।
গরুর মাংসে আছে Conjugated Linoleic Acid (CLA), এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ, ডায়বেটিস প্রতিরোধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
বি:দ্র: যাদের ডাক্তারের নিষেধ আছে গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে,তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলবেন।