এগ্রিনিউজ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শুধু মানুষ নয়, গবাদিপশুরও এ বন্যায় অবর্ণনীয় কস্ট হচ্ছে। তাই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী পালনকারী খামারী ভাইদের করণীয় সম্পর্কে কিছু মূল্যবান টিপস এখানে দেয়া হলো-
১. বন্যাকালীন সময়ে গো-খাদ্যের চরম সংকট হতে পারে তাই খড় ও দানাদার খাদ্য পর্যাপ্ত সংগ্রহ করে রাখুন।
২. যাদের মাঠে ঘাস আছে এবং যে ঘাস বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে তা এখনি কর্তন করে মাটির নিচে বাংকার পদ্ধতিতে সাইলেজ করে সংরক্ষণ করুন। পানি নেমে গেলে গো খাদ্যের চরম সংকটে তা কাজে লাগবে।
৩. বন্যার সময় আপনার গরু-বাছুরকে নিরাপদে রাখার জন্য কলাগাছ ও বাঁশের তৈরি ভেলা ব্যবহার করবেন অথবা নিকটবর্তী কোন উঁচু স্থানে স্থানান্তর করবেন। স্থানান্তরের জন্য সর্বদা নৌকা/ভেলা সংগ্রহে রাখুন। ভেলা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহে রাখুন।
৪. বন্যার সময় গরু-বাছুর যাতে বন্যার পানি না খায় সেদিকে সতর্ক থাকুন। বিশুদ্ধ পানি না পাওয়া গেলে গরু-বাছুরকে বন্যার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে বিশুদ্ধ করে থিতিয়ে ও ছেঁকে গরু-বাছুরকে খেতে দিন। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট না পেলে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন।
৫. বন্যা শুরুর আগেই আপনার মুরগিকে রানীক্ষেত, হাঁসকে ডাকপ্লেগ, ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর এবং গরু-মহিষকে তড়কা রোগের টিকা প্রদান করুন।
৬. যাদের খামারে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগি বাজারজাতকরণের উপযোগী হয়েছে তারা বিলম্ব না করে বিক্রি করে ফেলুন। নতুন করে বাচ্চা তোলার ক্ষেতে সতর্ক হোন ও বন্যা পরিস্থিতি দেখার পর সিদ্ধান্ত নিন।
৭. খামারের মাচা নিচু থাকলে তা বন্যার পানি আসার আগেই উচু করে নিন।
৮. গরু বাছুরের জন্য কিছু এসট্রিনজেন্ট মিকচার জাতীয় পাতলা পায়খানার ওষুধ ও বদহজমের ওষুধ সংগ্রহে রাখুন।
৯. বন্যার সময় কোথাও হাঁস-মুরগি অথবা গবাদিপ্রাণিতে মড়ক দেখা দিলে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
১০. মৃত হাঁস-মুরগি অথবা গবাদিপ্রাণি বন্যার পানিতে ভাসিয়ে দিবেন না। এতে গবাদিপ্রাণি ও মানুষ বিভিন্ন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। দূরবর্তী স্থানে যেখানে মাটি পাওয়া যাবে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে।
সূত্র : উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পাবনা।