সোমবার , নভেম্বর ২৫ ২০২৪

কৃষিজসহ নতুন করে সাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিবে সরকার

aagor-atorমো. খোরশেদ আলম জুয়েল: ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার, নারকেল ছোবড়ার আঁশ দিয়ে তৈরি পণ্য এবং আগর ও আতরসহ সাতটি নতুন পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ২০টি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বৃহস্পতিবার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজে করে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এসব পণ্যে বিভিন্ন হারে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে এই নগদ সহায়তা দেওয়া হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সার্কুলারে নতুন সাতটি পণ্যের মধ্যে আগর ও আতর রপ্তানির বিপরীতে ২০ শতাংশ, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ হতে সফটওয়্যার, আইটিইএস (ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবেলড সার্ভিসেস) ও হার্ডওয়্যার রপ্তানিতে ১০ শতাংশ হারে, সিনথেটিক ও ফেব্রিকসের মিশ্রণে তৈরি পাদুকা রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ হারে, এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট) রপ্তানিতে ২০ শতাংশ, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ হারে এবং নারিকেল ছোবড়ার আঁশ দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।

গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাক এর পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ৪ শতাংশ, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা (প্রচলিত নিয়মের) ৪ শতাংশ, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ, নতুন পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে ৩ শতাংশ সহায়তা, হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া দিয়ে তৈরি পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ২০ শতাংশ। আলু রপ্তানিতে দেওয়া হবে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা।হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানিতে বরফ আচ্ছাদনের হারের উপর বিভিন্ন হারে (২ থেকে ১০ শতাংশ) সহায়তা দেওয়া হবে।

গরু-মহিষের নাড়ি, ভুঁড়ি, শিং ও রগ রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি দেওয়া হবে ১০ শতাংশ হারে। শস্য ও শাক সবজির বীজ রপ্তানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে ২০ শতাংশ হারে। পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রপ্তানিতেও ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হবে।

এছাড়া কৃষিপণ্য (শাক-সবজি ও ফলমূল) ও প্রক্রিয়াজাত (এগ্রোপ্রসেসিং) কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ , হাল্কা প্রকৌশল পণ্য রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, ১০০% হালাল মাংস রপ্তানিতে ভর্তুকি ২০ শতাংশ, জাহাজ রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, পেট বোতল-ফ্লেক্স রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, ফার্নিচার রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ সহায়তা দেওয়া হবে।

পাটজাত দ্রব্যাদির মধ্যে বৈচিত্র্যকৃত পাট পণ্য রপ্তানিতে ২০ শতাংশ হারে, পাটজাত চূড়ান্ত দ্রব্য (হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসি) রপ্তানিতে ১০ শতাংশ এবং পাট সুতা (ইয়ার্ন ও টোয়াইন) রপ্তানিতে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।

চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে ১৫ শতাংশ হারে। এছাড়া সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে ১০ শতাংশ হারে।

 

This post has already been read 5035 times!

Check Also

খামারীদের টাকা নিয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নয়-ছয়ের অভিযোগ!

মো. মাহফুজুর রহমান (চাঁদপুর সংবাদদাতা) : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তরে ১৬০ জন খামারীর প্রত্যেকের …