মো. আরিফুল ইসলাম, বাকৃবি : রক্ত প্রাণীদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন হয়। যেকোনো সংকটকালীন মুহূর্তে ব্লাড ব্যাংক থেকে অতি সহজেই পাওয়া যায় জীবন রক্ষাকারী এ উপাদানটি। শুধু মানুষ নয়, বিভিন্ন প্রাণীর জীবন বাঁচাতেও প্রয়োজন হয় রক্তের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণীর জীবন রক্ষায় এনিম্যাল ব্লাড ব্যাংক থাকলেও বাংলাদেশে এর তেমন গবেষণা ও প্রচলন নেই। আর সে কারণে আহত বা বিভিন্ন সংকটকালীন অবস্থায় থাকা প্রাণীর রক্তের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠা করা হল প্রাণী ব্লাড ব্যাংকের।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন হয়েছে এমনই একটি ব্লাড ব্যাংক। মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারী ও অবস্টেটিক্স বিভাগের উদ্যোগে বিভাগীয় সভাকক্ষে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্লাড ব্যাংক চালু হলো।
অনুষ্ঠানে প্রাণীর ব্লাড ব্যাংকের সহযোগী কো-অর্ডিনেটর ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস।
অনুষ্ঠানে এনিম্যাল ব্লাড ব্যাংকের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ বিষয়ের গবেষক এনিম্যাল ব্লাড ব্যাংকের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম। তিনি বলেন, যে কোনো প্রাণীর সংকটকালীন মুহূর্তে এ ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সরবরাহ করা হবে। রক্তদানের পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাণীকে একটি নতুন জীবন উপহার দেয়া সম্ভব। যে কোনো দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে অতিরিক্ত দুর্বলতা দূরীকরণে জরুরি ভিত্তিতে প্রাণীকে প্রয়োজন অনুযায়ী সিরাম অথবা লোহিত রক্তকণিকা অথবা শ্বেত রক্তকণিকা সরবরাহ করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর বলেন, মানুষের সংকটময় সময়ে আমরা অনেক ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে পারি। কিন্তু গবাদিপশুসহ নানা প্রাণীদের রক্ত সংগ্রহ এবং সরবরাহের বিষয়টি এখনো মানুষের কাছে পরিচিত নয়। এ ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে দেশের খামারী, পশু পালনকারীরা সুবিধা পাবে বলে আশা করছি।