আয়শা সিদ্দিকা :
পুষ্টিমূল্য : তিন আউন্স গরু বা লাল মাংস থেকে আপনি দৈনিক প্রোটিনের চাহিদার প্রায় অর্ধেক (২৫ গ্রাম) মেটাতে পারেন। এছাড়া ভিটামিন বি৬ ও বি১২-এর উৎস হিসেবেও তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যা আমাদের উদ্যমী হতে সহায়ক।এছাড়া জিংক ওআয়রন থাকে এতে। জিংক দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং আয়রন অক্সিজেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়াও
– গরু অথবা খাসির বিভিন্ন অঙ্গের আছে নানা রকমের পুষ্টিগুণ। এদের লিভার, কিডনি ও মগজ নানা রকমের ভিটামিন ও খনিজ লবণে বেশ সমৃদ্ধ।
– এতে ভিটামিন ‘বি-১২’ আছে প্রচুর পরিমাণে। প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মাংস ভিটামিন ‘বি-১২’-র চাহিদার শতভাগ পূরণ করতে সক্ষম।
– লিভার আমিষ, আয়রন, ফলিক এসিড, জিংক, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন ও ভিটামিন ‘এ’র উত্তম উৎস।
– কিডনি আমিষ, আয়রন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন ও ফলিক এসিডের ভালো উৎস।
– এতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল আছে; বিশেষত মগজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
ক্যালরিমূল্য: প্রতি ১০০ গ্রাম মাংস থেকে রকমভেদে ৪৯৮ থেকে ৫১৪ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। তাই শক্তির জন্য মাংস খাওয়া যায় সপ্তাহে এক বা দুই দিন। যাঁদের ওজন কম তাঁরা ওজন বাড়াতে, যদি কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকে, নিয়মিত মাংস খেতে পারেন।
লেখক : ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট, ইজি ডায়েট বিডি লিমিটেড।
Very important information.