আয়শা সিদ্দিকা : গর্ভাবস্থায় সুস্থতার নিয়ামক সঠিক খাওয়া দাওয়া। পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন, মিনারেল, প্রয়োজনীয় হরমোন আর প্রচুর ভালোবাসার সংমিশ্রণে ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে শিশু। তাই, গর্ভাবস্থায় ওজন ভীতিতে না থেকে শরীরের জন্য জরুরি প্রয়োজন পুষ্টি, এনার্জি আর শক্তি।
প্রেগনেন্সির সময় প্রথম ৩ মাসে সাধারণত ১.৫ কেজি ওজন বাড়ে। তারপর থেকে প্রতিমাসে ১ কেজি করে ওজন বাড়তে থাকে। সবমিলিয়ে প্রেগনেন্সির সময় সাধারণত ১০ কেজি ওজন বৃদ্ধি হয়। প্রথম ৬ মাস ব্রেস্টফিড করালে ল্যাকটেশনের মাধ্যমে অনেকটা ক্যালরি খরচ হয় ও অতিরিক্ত বডি ফ্যাট ঝরাতে সুবিধা হয়। তাই প্রেগনেন্সির জন্যে ফিট থাকাটা জরুরি।
“If you are willing to eat right, your body will have perfect Hormonal Harmony”
অনেকেই বেবি কনসিভ করার সম্ভাবনা বাড়াবার জন্য ওজন কমাবার চেষ্টা করেন। সকাল-সন্ধ্যা জগিং, একটা ডায়েট প্ল্যানে লাভ না হলে অন্য ডায়েট চেষ্টা করা, ক্র্যাশ ডায়েটিং ইত্যাদি। এতে করে কিছুটা স্লিম হওয়া গেলেও নিউট্রিশন বা পুষ্টি মাত্রা শূণ্যতে যেয়ে দাড়ায় । তাই প্রেগনেন্সির সময়ও ওজন বাড়ে, ক্লান্ত ও বিরক্ত লাগে। ডেলিভারির সময়ও কমপ্লিকেশন দেখা যায়।
গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের ওপর জোর দেয়া উচিত। মায়ের খাদ্যের মধ্যে যাতে কোন রকম পুষ্টির অভাব না থাকে সেদিকটায় খেয়াল রাখা জরুরি। গর্ভকালীন সময়ে মাল্টি ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, আয়োডিন এবং ক্যালসিয়াম গর্ভকালীন সময়ে খুব দরকার।
সুতরাং, ওজন কমানোর ওপর নয়, গর্ভকালীন শরীরকে নিউট্রিশনালি স্ট্রং করার উপর জোর দেওয়া উচিত।
লেখক : ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট, ইজি ডায়েট বিডি লিমিটেড।