মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
জাতিসংঘ সম্মেলনে ৭২তম ১৪ বারের মত ভাষণ দিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রোহিঙ্গা সংককট নিরসনে ছয়টি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব জাতিসংঘ ও মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তাঁর এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগ। শনিবার দুপুর দেড়টার সময় ওই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ভাষণ ও রোহিঙ্গা সংককট নিরসনে উপস্থাপিত প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাটি ছাত্রলীগের কার্য়ালয় থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাডে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে দেশরতœ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে ভাষণ জাতিসংঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ভাষণে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ছয়টি প্রস্তাবনা পেশ করেন। ১. রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সব ধরনের নিপীড়ন এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। ২. নিরপরাধ বেসামরিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মিয়ানমারের ভেতরে নিরাপদ এলাকা (সেইফ জোন) তৈরি করা যেতে পারে, যেখানে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে। ৩.বল প্রয়োগের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গা যেন নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে তাদের বাড়িতে ফিরতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ৪. রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে বাস Íবায়ন করতে হবে। ৫. রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে চিহ্নিত করার যে রাষ্ট্রীয় প্রপাগান্ডা মিয়ানমার চালাচ্ছে, তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ৬. রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে না ফেরা পর্যন্ত তাদের জরুরি মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে হবে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোকে।