নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় ২৭ সেপ্টেম্বর আগৈলঝাড়ার উত্তর শিহিপাশায় জিংকসমৃদ্ধ ব্রি ধান৬২’র ওপর এক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। কৃষক মো. ইব্রাহিম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাছির উদ্দিন এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দোলন চন্দ্র রায়, আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন প্রচার সম্পাদক মো. তোফাজ্জল হোসেন, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অজয় কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘‘ব্রি ধান৬২ আমনের স্বল্পকালীন একটি জাত। এর মধ্যে মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান জিংক বিদ্যমান। আমরা জানি, জিংক শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেই সাথে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং ম্যালেরিয়া আক্রান্ত শিশুদের রোগের তীব্রতা হ্রাস করে। একজন শিশুর দৈনিক ৩ থেকে ৫ মিলিগ্রাম জিংক প্রয়োজন। এ ধান থেকে পাওয়া চালের ভাত খেলে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি শরীরের জিংকের অভাবও পূরণ হয়। তাই এ ধানের আবাদ বাড়াতে হবে।”
কৃষক লাল মিয়া জমদ্দার বলেন, ‘‘এ জাতের ধান আবাদ করে মাত্র ১শ’ দিনে ফসল ঘরে তুলতে পেরেছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। ইচ্ছে করলে এক মৌসুমে পরপর দু’বার চাষ করা যায়। এ সময় মাঠের আশেপাশে অন্য কোনো ধান না থাকায় পাখির আক্রমণে কিছু সমস্যা হয়। যদিও পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা করলে অবশ্যই সুফল পাওয়া যায়।” মাঠদিবসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ দু’শতাধিক কৃষাণ-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ ধানের আবাদ সম্প্রসারণের লক্ষে প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার ১৫ জন কৃষকের মাঝে প্রদর্শনী দেয়া হয়। তাদের সহায়তা হিসেবে ১ একর জমির জন্য প্রত্যেককে বিনামূল্যে ১০ কেজি বীজ, ৩০ কেজি ইউরিয়া, ১৫ কেজি এম ও পি, ১৫ কেজি টিএসপি এবং ১০ কেজি জিপসাম সার বিতরণ করা হয়।