শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

শেষ হলো তিনদিনের খাদ্য মেলা

vvvনিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর খামারবাড়িতে শেষ হলো তিনদিনের খাদ্য মেলা। বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৭ উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। আ. কা. মু.  গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বরে ১৬ হতে ১৮ অক্টোবর এ মেলা চলে। মেলায় সরকারি বেসরকারি ৫৭টি স্টল স্থান পায়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলায় অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মেলায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বিভিন্ন মডেল, হাইব্রিডসহ উন্নত জাতের মানসম্পন্ন ফসলের বীজ, বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি প্রদর্শন করে প্রথম স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দ্বিতীয়  ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট তৃতীয় স্থান অর্জন করে। এছাড়াও মেলায় অংশগ্রহনকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, আগামীতে আরো বৃহত্তর পরিসরে খাদ্য মেলার আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগিতামূলকভাবে সকলে মেলায় অংশগ্রহন করবেন। আরও বেশি প্রতিষ্ঠান যেন মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে পারে সেজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বাতœক সহযোগিতা করে যাবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. ভাগ্য রানী বণিক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. গোলাম মারুফ । অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর পরিচালক মিজানুর রহমান।

এবারের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ (Change the future of migration. Invest in food security and rural development)।  উল্লেখ্য ১৬ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্যমেলার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের এমপি। এ দিবস উপলক্ষে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে প্রতিপাদ্যের ওপর সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ এর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। সম্মানিত অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাননীয় সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি ও এফএও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ডেভিড ডব্লিউ ডোলন।

দিবসটি উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার,  মাসিক কৃষিকথার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার প্রকাশনা ও বিতরণ, মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহন নিশ্চিত করাসহ  ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি  পালন করা হয়। বিশ্ব খাদ্য দিবসের উদ্দেশ্য হল- ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা, কৃষির উন্নতিতে মনোযোগ দেওয়া, কৃষিভিত্তিক উৎপাদনে উৎসাহ দান করা, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তা গ্রহণে উৎসাহ দান,  গ্রামীণ মানুষ, মূলতঃ মহিলা ও কম উন্নত মানুষদের অবদানে উৎসাহ দান, প্রযুক্তির সমৃদ্ধিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া । বিশ্বব্যাপি খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দীর্ঘদিন কাজ করে চলেছে। এফএও ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও  ১৯৭৯ সালে এ সংস্থার ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ড. পল রোমানি বিশ্বব্যাপি খাদ্য দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। তার প্রস্তাবের পর ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জন্মদিন ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হয়ে আসছে।

This post has already been read 3539 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …