শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষকের জন্য ‘ভিলেজ সুপার মার্কেট’!

pic marketফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা):
খুলনায় কৃষক পর্যায় থেকে সরাসরি পণ্য ক্রয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ‘ভিলেজ সুপার মার্কেট। জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের ২ একর ১০ শতক জমির উপর নির্মিত হচ্ছে এই ‘ভিলেজ সুপার মার্কেট’। নেদারল্যান্ড অ্যাম্বাসি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবির অর্থে প্রায় ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যায়ে এ ভিলেজ সুপার মার্কেট প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হলে আগামী বছরের গোড়ার দিকে মার্কেটটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ন্যায্যমূল্যে তৃণমূল পর্যায়ে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কৃষি পণ্য ক্রয় করে বিভাগীয় শহরের আগোরা সুপার শপে ও বিদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা থাকবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে খুলনা জেলাধীন ডুমুরিয়া উপজেলার টিপনা গ্রামের শেখ বাড়ির সামনে ভিলেজ সুপার নামের এ মার্কেটটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ইন্টারন্যাশনাল এনজিও ‘সলিডাড়িডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া’। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মার্কেটির আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। যার নির্মাণ কাজ বর্তমান চলমান অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় ঠিকমতো কাজ চললে আগামী ২০১৮ সালের গোড়ার দিকে মার্কেটটি চালু করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, মার্কেটি ২ একর ১০ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ডিপো, ১০ হাজার লিটার উৎপাদন ক্ষমতার চিলার আইস ফ্যাক্টরি, মসজিদ, ইলেকট্রিক্যা মেকানিক্যাল রুম, হর্টি ক্যালচার প্রসেসিং জোন, হর্টি প্যাকেজিং জোন, অ্যাকোয়া প্রসেসিং জোন, অ্যাকোয়া প্যাকেজিং জোন, একোয়া আড়ৎ, হর্টি আড়ৎ, ব্যাংক, চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, ফার্মার ট্রেনিং সেন্টার, অফিস সিকিউরিটি রুম, টয়লেট জোন ও বাউন্ডারী ওয়াল ইত্যাদি।

সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষক রাজিউল বারী সৈকত ও শফিকুল ইসলাম জানান, মার্কেটটি চালু হলে কৃষকদের সরাসরি পণ্য বিক্রির অবাধ সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে এবং জীবন-যাত্রার মান উন্নত হবে। এছাড়া অর্থনীতিতেও এর বড় ধরনের ভূমিকা থাকবে।

ভিলেজ সুপার মার্কেটের সাইট ইঞ্জিনিয়ার অনিরুদ্ধ কুমার সরকার বলেন, ইতোমধ্যে মার্কেটটির শতকরা ২৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের শেষ দিকে মার্কেটটি চালু করা সম্ভব হবে। আর মার্কেটটি চালু হলে খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল ও যশোর এলাকার তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি কৃষি পণ্য (ফলমূল, শাকসবজি, দুধ, মাছ ইত্যাদি) ক্রয় করে দেশের বিভাগী শহরগুলোর সুপার শপে বিক্রি করা হবে। বিদেশেও রফতানি করা হবে। এছাড়া আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে এ মার্কেটে।

তিনি আরো বলেন, কৃষকরা যাতে কোনভাবেই প্রতারিত ও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয় বিভিন্ন এনজিও এর প্রতিনিধি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড মনিটরিং করবেন। এছাড়া এ মার্কেটে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কোন স্থান নেই।

This post has already been read 6064 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …