নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপি এক আঞ্চলিক কর্মশালা আজ বরিশাল নগরীর খামারবাড়িস্থ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বরিশালের উপপরিচালক রমেন্দ্র নাথ বাড়ৈর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওমর আলী শেখ।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ব্রি ধান৭৬ এবং ব্রি ধান৭৭ দক্ষিণাঞ্চলে আমন মৌসুমের একটি উৎকৃষ্ট জাত। এবার যেসব প্রদর্শনীতে এ জাতের বীজ উৎপাদন হয়েছে, তা আগামী বছরের জন্য রেখে দিতে হবে। এক গ্রাম বীজও যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ধানচাষে লোগো পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এতে একদিকে যেমন পরিচর্যার সুবিধা হয়, তেমনি ফলনও বাড়ে। যেসব এলাকায় সর্জান পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে সেখানে প্রতি বেডের দু’পাশে নারকেলি কচু রোপণের পরামর্শ দেন।
বরিশাল সদরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মেহের মালিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নির্মল কুমার দে, ডিএই পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠির উপ-পরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক, পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত, বরগুনার উপ-পরিচালক সাইনুর আজম খান, উপ- প্রকল্প পরিচালক সুরজিত সাহা রায়, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ হোসেন, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের যুগ্ম পরিচালক ড. একেএম মিজানুর রহমান, ডিএই বরিশালের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আবদুল অদুদ খান প্রমুখ। এতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রি, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বিএডিসি, এটিআই, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বিজেআরআই, হর্টিকালচার সেন্টারসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১০০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।