কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ:
নওগাঁর ১১টি উপজেলা নওগাঁ সদর, বদলগাছী, রাণীনগর, আত্রাই, মহাদেবপুর, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, পতœীতলা, ধামইরহাট, মান্দা উপজেলায় কনকনে ঠান্ডা ও প্রচন্ড শীতে জনসাধারণদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ২০১৭ সনের ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় নাকাল হয়ে পড়ে নওগাঁবাসি। কিন্তু আরো তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডা পড়ে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে।পশ্চিম দিক থেকে সজোরে বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে এবং ঘন কুয়াশার কারণে এমন তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডা উপলব্ধি করছে নওগাঁবাসি।তীব্র শীত ও কনকনে ঠান্ডায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সূয্যি মামার দেখা মিলছে না,সারাদিন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে।
তীব্র শীতে বেশি প্রভাব ফেলছে হত দরিদ্র লোকদের জীবনে। গরীব শ্রেণির লোকজনের গরম কাপড় না থাকায় অসহনীয় শীতে ভোগছে। দিনমজুররা তীব্র শীতে তাঁদের কাজকর্ম ভালোভাবে করতে পারছেন না। গ্রামের কৃষকরা সময়মতো হালচাষ, রবি মৌসুমি ফসলে পরিচর্যা করতে পারছেন না। শহরের লোকজনের কাজকর্ম অলসঘন পরিবেশে করছেন। স্কুল ও কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সকালে প্রাইভেট ও কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য গরম কাপড় পরিধান করে যাচ্ছে। তীব্র শীতে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগবালাই দেখা দিয়েছে।
এদিকে শহর ও গ্রামের চায়ের দোকানে সকাল ও সন্ধ্যায় লোকজনদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। আবার কেউ কেউ সিদ্ধ গরম ডিম ও শীতের নানা রকমের পিঠাপুলি খাচ্ছে মনের সুখে। শীত নিবারণের জন্য কোমলমতি শিশুরা খড়ে আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা শীত নিবারণ করছে। অটোভ্যান চালক হাসান আলী জানান,তীব্র শীত ও হিমেল বাতাসের কারণে লোকজন অটোভ্যানে উঠছে না,এতে আমার আয় রোজগার হচ্ছে না।তিনি আরও বলেন,আমি দিনে ৫০০ টাকা রোজগার করতাম, কিন্তু তীব্র শীতে এখন আমার রোজগার বন্ধ।