নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আপনাদের সরাসরি সহযোগিতায় দেশের মানুষের আমিষ চাহিদা পূরণে এসবের প্রধান উৎস মুরগি, ডিম ও মাছ উৎপাদন এবং এর সার্বিক মান ও সুস্বাস্থ্য রক্ষায় আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। সুস্থ সবল জাতি গঠন ও উজ্জ্বল সম্ভানাময় দেশ বিনির্মাণে আপনারা আমাদের আপনারা-আমরা পরস্পরের অংশীদার। এই সম্মান, এই গর্ব আপনার আমার সবার। আমরা একসাথে ছিলাম একসাথে আছি এবং ভবিষ্যতেও একজন আরেকজনের সহায়ক এবং পরিপূরক হিসেবে কাজ করে আমাদের আগামীর বর্ণিল দিনগুলোকে স্বাগত জানাবো’ কথাগুলো বলছিলেন পোলট্রি ও মৎস্য সেক্টরে দেশের স্বনামধন্য কোম্পানি প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) -এর সভাপতি মসিউর রহমান। “বর্ণিল আগামীর পথে, এক সাথে” স্লোগান নিয়ে পোলট্রি শিল্পে দেশের খ্যাতনামা কোম্পানি ‘প্যারাগন গ্রুপের ২২তম বার্ষিক পরিবেশক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্লেলন কেন্দ্রে উক্ত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্যারাগন, উষা এবং চমক ব্র্যান্ডেপর পরিবেশক ও অতিথিদের উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে মসিউর রহমান বলেন, আপনাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতার কারণেই এত বিশাল কর্মযজ্ঞ এত সফলভাবে বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সম্পাদন করতে পারছি এবং যার ফলে সারাদেশে প্যারাগন গ্রুপ এর সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কৃতিত্ব আপনার, আমার সকলের।
এছাড়াও মসিউর রহমান ২০১৭-১৮ সনের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য কোম্পানির গৃহীত পদক্ষেপ সম্মেলনে আগত পরিবেশকদের সামনে উপস্থাপন করেন এবং বাৎসরিক বিক্রয় সফলতার ওপর পরিবেশকদের হাতে ক্রেস্ট, অর্থ সম্মানি তুলে দেন এবং বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য এর আগে তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও সম্মেলনে আগত পরিবেশক এবং তাঁদের পরিবার পরিজনের সাথে স্টেজ থেকে নেমে আলাদা আলাদাভাবে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে পরিচিত হন এবং ফটোসেশন করেন।
হাজারের ওপর অতিথি পরিবেশকগণ সকাল থেকেই সম্মেলনে আসতে শুরু করেন। পরিবেশকদের উপস্থিতিতে এক সময় অনুষ্ঠানটি মিলন মেলায় রূপ হয়। সকাল সাড়ে নয় টায় হাজী ফুল মিয়া সরকার কর্তৃক পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।
সম্মেলনে প্যারাগন গ্রুপের সিওও (চীফ অপারেটিং অফিসার) সোহেল ইবনে সাত্তার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আগত পরিবেশক ও তাদের পরিবার এবং আয়োজক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আজকের এই উৎসবের মাধ্যমে, আপনাদের স্বপ্ন ও প্যারাগন গ্রুপের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আরেকটি নতুন বছর এর সূচনা করছি। এই সম্মেলন এখন শুধু ব্যবসায়িক বা আনুষ্ঠানিক আলোচনা এবং মত বিনিময়ের মাঝে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি এক উৎসব ও আনন্দঘন মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। পরিবেশকরা হচ্ছে প্যারাগন গ্রুপের প্রাণ। আপনাদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতার এবং এবং মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সুযোগ্য নেতৃত্বে প্যারাগন গ্রুপ আজ দেশের শীর্ষ পোলট্রি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এ সময় সোহেল ইবনে সাত্তার অনুষ্ঠান আয়োজনের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির অন্যতম কর্ণধার মিসেস সেগুফতা ইসলামের আকষ্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্যারাগন গ্রুপের সম্মানিত পরিচালক ইয়াসমিন রহমান এবং মেহরান রহমান। অনুষ্ঠানে ইয়াসমিন রহমান প্যারাগন কাস্টমার কেয়ার হটলাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেহরান রহমান গ্রুপের অগ্রগতির ওপর একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও আগত পরিবেশকদের জন্য র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন স্বয়ং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান। র্যাফেল ড্র’র ফাঁকে ফাঁকে কথার জাদুতে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন এ সময় তিনি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রত্যেক ডিলারের জন্য বরাদ্দ ছিল আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্যারাগন গ্রুপের চীফ কো-অর্ডিনেটর মনজুর এলাহী, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মি. শ্যামল চক্রবর্তী, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মো. রফিকুল ইসলাম, মার্কেটিং ম্যানেজার (পোলট্রি চিকস্ অ্যান্ড ফিডস) সমীরন দে ছাড়াও সেলস্ ও মার্কেটিং বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সবশেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যাদুকর জুয়েল আইচ মনোমুগ্ধকর যাদু প্রদর্শন করেন এবং হাল আমলের ক্রেজ শিল্পী ঐশীর গানের মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন।