মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলনÍ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল থেকে আতিকুর রহমান (২৪) নামে। শনিবার দুপুরে হলের ৩৫৭/এ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আতিক মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শেষবর্ষের (২০১২-১৩ সেশন) শিক্ষার্থী। এ নিউজ লেখা পর্যন্ত তার মৃত্যুও কোন কারণ জানা যায়নি।
প্রশাসন ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার আতিকুর রহমানের ভাই আশিক আরমান খান বাপ্পী ও তার স্ত্রী ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। আতিক তার ভাই ও ভাবীকে নিয়ে সেদিন ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করেন ও ফেসবুকে রাতে ছবিও আপলোড করেন। তার ভাই মোবাইলে তাকে না পেয়ে হলের সহপাঠীদের জানান। পরে সহপাঠীরা আতিকের কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা দেখতে পান। কক্ষের বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন সাড়া পাননি তারা। জানালা দিয়ে দেখেন আতিক গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। পরে কক্ষের দরজা ভেঙে আতিককে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের ডা. ফাহমিদা সুলতানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আতিকুর রহমানের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার কালীগঞ্জ ইউনিয়নে।
হলে তার সহপাঠীদের জানান, আতিক খুবই ভালো ছেলে, সব সময় হাসিখুশি থাকতো। সকলের সাথে হেসে কথা বলতো। সে এমন কাজ করবে তারা কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
এদিকে তার ফেসবুক প্রোফাইলেও আত্মহত্যার বিষয়ে কোন ইঙ্গিত নেই। গতকাল রাতেও সে নিজের ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান খোকন বলেন, লাশের ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কোন কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এবং পুলিশি তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।