ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা): গত জানুয়ারি ও চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে সুন্দরবনে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও অসাধু জেলেরা অধিক লাভের আসায় ডিমওয়ালা ধরে ব্যাবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছে। এ সময়ে আংটিহারা কোষ্টগার্ড ৫০০ কেজি কাঁকড়া জব্দ করেছে। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি এবং জব্দকৃত কাঁকড়ার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ টাকা।
কোষ্টগার্ড সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত অনুঃ ২ টায় আংটিহারা কোষ্টগার্ডের সোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন বিনাপানি গ্রামের নদীর চরের একটি ঘর থেকে কাঁকড়া বাছাইয়ের সময় জব্দ করেন। এসময় স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী দলের ৪/৫ জন কোষ্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিযে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জোড়সিং গ্রামের ৩ জন কাঁকড়া ব্যবসায়ী উক্ত কাঁকড়া সন্ধ্যার পর সুন্দরবনের জেলেদের কাছ থেকে ক্রয় করে তা বাজারে বিক্রি করেন।
আংটিহারা কোষ্টগার্ডের সিসি জীবেশ ঢালী ঘঁটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন জব্দকৃত কাঁকড়া শনিবার সকাল ১০ টায় কোবাদক ফরেষ্ট স্টেশন ও আন্দারমানিক ফরেষ্ট ক্যাম্পের কর্মচারিদের এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল শেখের উপস্থিতিতে শাকবাড়ীয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয় জোড়সিং বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নওয়াব আলী মোল্লা জানান, যে আমার ৮৭ কেজিসহ কিবরিয়া মোল্লার ২৭৫ ও রবিউল গাজীর ১৬০ কেজি কাঁকড়া গত রাতে কোষ্টগার্ড আটক করেছে। তিনি জানান গেল জানুয়ারি মাসে সুন্দবন থেকে জেলেদের মাধ্যমে ধরা কয়েক হাজার কেজি ডিমওয়ালা কাঁকড়া জোড়সিং বাজারের কাঁকড়া ব্যবসায়ী নওয়াব আলী, কুদ্দুস ঢালী, কিবরিয়া মোল্লা, তুষার মন্ডল, মইনুদ্দিন, হাফিজুর, সাদ্দাম ও সুজাউদ্দীন ক্রয় করে কয়রা উপজেলা সদরে বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন বর্তমান প্রতি কেজি ডিমওয়ালা কাঁকড়ার মূল্য ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, যে কারনে জেলেরা কাঁকড়ার প্রজনন মেীসুমে সুন্দরবনের কাঁকড়া ধরা ২ মাস নিষিদ্ধ জেনেও অধিক লাভের আশায় জেলেরা বনে কাঁকড়া ধরছে।তবে পরিচয় গোপন করে জনৈক কাঁকড়া ধরা জেলে জানান তারা স্টেশন থেকে মাছের পাশ নিয়ে বনে কাঁকড়া ধরছে এবং বনকর্মচারীদের প্রতি সপ্তাহে ১০০০ করে টাকা দিয়েছেন কিন্তু কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা কাঁকড়া ধরছে জেলেরা এ স্বীকার করলেও টাকার কথা অস্বীকার করেছেন।