শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ বিষয়ক জাতীয় কর্মশালা

কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের এক দিনের জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮) রাজধানীর খামারবাড়ি সংলগ্ন আ. কা. মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়ামে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্।

তিনি বলেন, কৃষিতে আমরা অসাধ্য সাধন করেছি। ধান, আলু, ভুট্টায় আমাদের অনেক উৎপাদন বেড়েছে। দানাদার ফসলে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের অনকে নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন হয়েছে। বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে মাঠে তার সফল বাস্তবায়ন হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একই ফসল বারবার চাষ না করে শস্য পর্যায়ের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করতে হবে। উচ্চমূল্যের ফসল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। কৃষকরা সারা বছর চাষবাদের মধ্যে থাকলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আসবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে ডাল, তেল ও মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদনে জোর দিতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ মহসীন -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল হান্নান। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স।

কর্মশালায় কারিগরি সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীগণ ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের বীজ উৎপাদন প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্প্রসারণ ও সম্ভাবনার দিকগুলো আলোকপাত করেন। সেই সাথে মৌচাষ সম্প্রসারণ ও সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরা হয়।

উল্লিখিত প্রকল্পটি দেশের ৬৪টি জেলার সকল উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০টি ইউনিয়নে ওয়ার্ড ভিত্তিক বীজ এসএমই (ঝগঊ) সৃষ্টির মাধ্যমে ডাল, তেল ও মসলার মানসম্মত বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, টেকসই উৎপাদন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও মৌচাষ সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য জুলাই ২০১৭ হতে জুন ২০২২ সন পর্যন্ত ০৫ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬৫ কোটি ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রকল্পের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে মাঠ পর্যায়ে সারা বছর ডাল, তেল ও মসলা জাতীয় ফসলের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত হবে। ফলস¦রুপ বীজ উৎপাদনের সাথে উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উক্ত ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং এর ফলে আমদানী নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। প্রকল্পে মৌচাষ সম্পৃক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ১৫-৩০% ফলন বৃদ্ধিসহ মধু উৎপাদন এবং পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদ উৎসাহিত হবে।

This post has already been read 3917 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …