মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিবিদ দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্ত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কেআইবি বাকৃবি শাখার সভাপতি কৃষিবিদ অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আবদুল মান্নান। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জসিমউদ্দিন খান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্ঠা প্রফেসর ড. এস ডি চেীধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এএস মাহফুজুল বারি, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি কৃষিবিদ হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন। আয়োজিত আলোচনা সভার মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেআইবির যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন।
মূলপ্রবন্ধে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাকৃবি থেকে এখন পর্যন্ত ৪২ হাজার ১৩৭ জন গ্রাজুয়েট বের হয়েছেন এবং ১০ হাজার ১৮৫ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩২টি প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং ১৪১টি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৪.২২%। কৃষিবিদদের নিরলস পরিশ্রমের জন্যই এসব সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষিতে উন্নয়ন করতে হবে। কৃষি, কৃষক ও কৃষিদিদদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
উল্লেখ্য, দেশের উন্নয়নে ও মানুষের খাদ্যাভাব লাঘবের জন্য কৃষিবিদদের গুরুত্ব বুঝতে পেরে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্ত্বরে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করেন। এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় ১৩ ফেব্রুয়ারিকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাই ২০১১ সাল থেকে প্রতিবছরই এ দিনটি কৃািষবিদ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।