মো. আরিফুল ইসলাম (বাকৃবি):
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে কৃষি সেবায় এসেছে নতুনত্ব। বিশ্বে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। দেশের কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা ধরনের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের বিসিএস কৃষি ক্যাডারগণ। ফলে দ্রুত আধুনিক এসব সেবা কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তাদেরও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আজ বুধবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিসিএস কৃষি ক্যাডারদের তথ্য ও প্রযুক্তির জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৪ দিনব্যাপী তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অতিথিবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) মিলনায়তনে প্রশিক্ষণের সমাপনী ও প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশনের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ -২ প্রজেক্ট (এনএটিপি ২) এর অর্থায়নে গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ওই প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। জিটিআই এর পরিচালক প্রফেসর এ. কে. এম. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন জিটিআইয়ের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. এম. নজরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিটিআইয়ের সহকারী প্রফেসর রাখী চক্রবর্ত্তী।
বক্তারা বলেন, পেশাগত দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে এবং বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে টিকে থাকতে হলে আমাদের নিজেদেরকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। শুধু তাই নয় প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। মাঠে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কৃষি সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যার যার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক ১৪ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে আজ শেষ হয়। এ প্রশিক্ষণ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বিসিএস কৃষি ক্যাডারগণ কোর্সে দুটি ব্যাচে মোট ৪০জন অংশগ্রহণ করেন।