শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

আমের আ্যানথ্রাকনোজ রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ড. শফিক উদ্দিন : বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আম উৎপাদনে সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ অ্যানথ্রাকনোজ। Colletotrichum gloeosporioides নামক এক প্রকার ছত্রাক দ্বারা এই রোগ হয়। এ রোগের আক্রমণ আমগাছের কচি পাতা, কান্ড, মুকুল, কুঁড়ি ও বাড়ন্ত আমে দেখা যায়। পাশাপাশি দাগসমুহ একত্রিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে। বেশী আক্রান্ত পাতা ঝরে পড়ে। কচি পাতার আক্রান্ত স্থানের কোষগুলি দ্রুত মারা যায়। আমের মুকুল বা ফুল আক্রান্ত হলে কালো দাগ দেখা দেয়। আক্রান্ত ফুল মারা যায় ও ঝরে পড়ে। মুকুলে আক্রমণ হলে ফল ধারণ ব্যহত হয়। আম ছোট অবস্থায় আক্রান্ত হলে আমের গায়ে কালো দাগ দেখা দেয়। আক্রান্ত ছোট আম ঝরে পড়ে।

প্রতিকার
১. প্রতি বছর রোগাক্রানন্ত বা মরা ডালপালা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

২. গাছের রোগাক্রান্ত ঝরা পাতা ও ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে বা মাটি চাপা দিতে হবে।

৩. মুকুলে রোগের আক্রমণ প্রতিহত করতে হলে ডায়থেন এম ৪৫/পেনকোজেব/ইন্ডোফিল ইত্যাদি ছত্রাকনাশক (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে) ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। মুকুল ১০ সেমি লম্বা হলেই প্রথম স্প্রের শেষ করতে হবে। আম মটর দানার মত হলে দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। এতে কচি আমে আক্রমণ প্রতিহত করবে এবং আম ঝরে পড়া কম হবে। কীটনাশকের সাথে এসব ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একত্রে স্প্রে করা যেতে পারে।

৪. গাছ থেকে আম পাড়ার পরপরই গরম পানিতে (৫৫ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রায় ৫ মিনিট) ডুবিয়ে রাখার পর শুকিয়ে গুদামজাত করতে হবে।

This post has already been read 4337 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …